আশঙ্কা ছিলই। তাই আগে থেকেই লোক জোগানোর প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হল না। ফের রাজ্য সফরে এসে অধিকাংশ ফাঁকা চেয়ারের সামনেই ভাষণ দিতে হল উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে। আজ, সোমবার সকালে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ স্টেশন সংলগ্ন একটি মাঠে সভা করেন যোগী। যেখানে মানুষের চেয়ে ফাঁকা পড়ে থাকা চেয়ারের সংখ্যাই ছিল বেশি। এমনকি এদিনের সভায় উপস্থিত ছিলেন না কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর নিজেই। মাঠ না ভরায় ইতিমধ্যেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনের আগে শেষলগ্নের প্রচারে ব্যস্ত সব দলই। প্রতিপক্ষকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তেও রাজি নন কেউ। সেই কারণে, রাজ্যের সবকটি লোকসভা কেন্দ্রে চুটিয়ে প্রচার চালাচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। সেই মতোই সোমবার বনগাঁয় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে এনে প্রচার সারল বঙ্গ বিজেপি। এদিন বেলা ১২ টা নাগাদ বনগাঁ স্টেশন সংলগ্ন সভাস্থলে পৌঁছান তিনি। সভা থেকে তিনি বলেন, ‘পরবর্তী দিনে নিজেরা ভাল থাকতে চাইলে, সব সুযোগ সুবিধা চাইলে, সর্বোপরি কৃষকদের স্বার্থে বিজেপিকেই ভোট দিতে হবে।’ কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বিজেপির আমলেই দেশ জুড়ে প্রবল আকার ধারণ করেছে কৃষি সঙ্কট।
সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও দোষারোপ করেন যোগী। তাঁর কথায়, ‘মোদীজি যতবার রাজ্যে উন্নয়ন আনতে চেয়েছেন, ততবার সেখানে বাধা দিয়েছেন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যতবার শিল্প আনার চেষ্টা করা হয়েছে, প্রতিক্ষেত্রেই তিনিই সমস্যা তৈরি করেছেন। সেই কারণেই উত্তরপ্রদেশ এগিয়ে গিয়েছে, আর বাংলা আজ বেকারত্বের অসুখে ভুগছে। কারণ, রাজ্যে নতুন শিল্প আসতে পারেনি, ফলে চাকরি পাচ্ছে না যুব সমাজ।’ কিন্তু বাস্তব চিত্র অন্য কথাই বলছে। সম্প্রতি এক রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে যে, গোটা দেশে গড় বেকারত্বের হার যখন ৬.১ শতাংশ, তখন বাংলায় বেকারত্বের হার তার তুলনায় অনেকটাই কম। মাত্র ৪.৬ শতাংশ।
অন্যদিকে, এদিনের সভা থেকে ফের প্রকাশ্যে চলে এল গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠীকোন্দলের ছবি। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর সভায় উপস্থিত না থাকার কারণ গোষ্ঠীকোন্দল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।