বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্যেই নিয়োজিত করেছেন নিজেকে। তাই বাংলা তথা মানুষের উন্নয়নের কাজে রোদ-ঝড়-বৃষ্টি কোনওকিছুই প্রাধান্য পায় না তাঁর কাছে। তাঁর সৈনিকেরাও তাঁরই মতন। জনসংযোগের জন্যে সবকিছু উপেক্ষা করেন তাঁরা। তাই দলের প্রার্থীর সমর্থনে গায়ে ধুম জ্বর নিয়েও নিজের কেন্দ্রে ছুটে বেড়াচ্ছেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা।
বোলপুরে নিজের গড় রক্ষা করতে জ্বর নিয়েই বুথে বুথে ছুটে চলেছেন মৎস্যমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। গত বিধানসভা ভোটে বোলপুর কেন্দ্র থেকে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ের মার্জিন ধরে রাখাই তাঁর লক্ষ্য। বিধায়কের পাশাপাশি তিনি ইলামবাজার ব্লকের সাংগঠনিক দায়িত্বেও রয়েছেন। তাই অন্তর্ঘাত ঠেকাতে দলের সবপক্ষকে নিয়ে ঘুরে ঘুরে গ্রাম্যসভা করে বেড়াচ্ছেন তিনি।
বোলপুর বিধানসভা এলাকায় শান্তিনিকেতন ও বোলপুর শহরকে কেন্দ্র করে রয়েছে উচ্চ শিক্ষিত রাজনীতি সচেতন ভোটার সমাজ। তার পাশেই রয়েছে ইলামবাজারের মতো প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকাও। এরই মধ্যে পড়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠা পাড়ুই এলাকা। বোলপুর শহর, বোলপুর-শ্রীনিকেতন ব্লকের কয়েকটি পঞ্চায়েত এই বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হলেও ভোটে প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করে ইলামবাজার ব্লক। ন’টি পঞ্চায়েত নিয়ে গড়ে ওঠা গ্রামীণ ভোটাররাই এই ঐতিহ্যমণ্ডিত এলাকার নির্ণায়ক ভূমিকায় থাকেন।
২০১৬ সালের পর এলাকায় নানা উন্নয়নমূলক কাজও হয়েছে। ইলামবাজার, জয়দেব, অজয়ের ওপর দু’টি বিশাল সেতু করছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও আরও অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষ খুব খুশি এই উন্নয়নে। কারওর মনে এতটুকুও ক্ষোভ নেই বরং বিজেপির মিথ্যা কথায় ক্ষুব্ধ সকলে। তাই মানুষ যে থাকবেন মমতার পাশেই তা বুঝিয়ে দিচ্ছেন সকলে।