বাম সরকারের রেখে যাওয়া ঋণের বোঝা সত্বেও ক্ষমতায় এসেই রাজ্যের সাধারণ মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা ও যাবতীয় ওষুধ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যবাসীর কাছে অঙ্গীকারবদ্ধ মমতা যে ইতিমধ্যেই তাঁর কথা রেখেছেন তা জানতে আর বাকি নেই কারও। রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে খোলনলচে বদলে ফেলেছেন তিনি। বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যে প্রভূত উন্নতি হয়েছে, এবার সে কথা স্বীকার করে নিল ব্রিটিশ হাইকমিশনও।
আগের চেয়ে বাংলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে
স্বাস্থ্য পরিষেবায় ভারতের মধ্যে এগিয়ে বাংলাই। নবজাতক এবং শিশু মৃত্যুর হার অনেক কমেছে। বৃদ্ধি পেয়েছে টিকাকরণের হার। সবমিলিয়ে মমতার রাজ্যের ফলাফল খুবই ভাল। সোমবার কলকাতায় ইন্সটিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেস (আইএনকে) হাসপাতালের দশম প্রতিষ্ঠা দিবস অনুষ্ঠানে এসে ঠিক এমন কথা বলে রাজ্যের ভূয়সী প্রশংসা করলেন ভারতে ব্রিটেনের হাইকমিশনার ডমিনিক অ্যাসকুয়েথ।
পাশাপাশি, তিনি আইএনকে-এর চিকিৎসা পরিষেবা, গবেষণা, প্রশিক্ষণের প্রশংসা করে বলেন, ‘ব্রিটেনের নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটির সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আইএনকে যে উন্নত প্রযুক্তি সহযোগে গুণমানের পরিষেবা দিচ্ছে তাতে দু’দেশের রোগীদেরই সুবিধা হচ্ছে।’ আইএনকে-এর চেয়ারম্যান ডাঃ আর পি সেনগুপ্ত জানান, চিকিৎসা পরিষেবার মান উন্নয়নের সঙ্গে পঠনপাঠনও হচ্ছে। ব্রিটেনের ইন্সটিটিউট অফ নিউরোসায়েন্সেস, নিউক্যাসলের সঙ্গে যৌথভাবে গবেষণার কাজেরও অনেক অগ্রগতি হয়েছে।
গতকালের অনুষ্ঠানে ছিলেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দজি, বিশিষ্ট অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, বাংলাদেশের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কনককান্তি বড়ুয়া, দিল্লীর এইমসের নিউরোসায়েন্স সেন্টারের প্রাক্তন প্রধান অধিকর্তা মিলন মুখোপাধ্যায়, হাসপাতালের চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার ব্রিগেডিয়ার ডাঃ অমিত রায়-অন্যান্য বিশিষ্টরা। জানা গেছে, চলতি মাসের ১৬-১৯ তারিখ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মশালা চলবে হাসপাতালে। বিদেশের স্বনামধন্য স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে চিকিৎসার বিভিন্ন দিক নিয়ে মতামত বিনিময় হবে।