কৃষ্ণগঞ্জের নিহত বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী রূপালি বিশ্বাস এ বার রাণাঘাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী। সবে ২৫ পেরোনো রুপালী কিছুদিন আগে পর্যন্ত ছিলেন আদ্যন্ত সংসারী। স্বামী আর একবছরের ছেলেকে ঘিরেই ছিল জগৎ। সরস্বতী পুজোর দিন আততায়ীর গুলিতে স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে ছক ভাঙা জীবন রূপালির। তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তিনি এসেছেন রাজনীতির ময়দানে। সারাদিনের প্রচারের মধ্যে ছেলের কাছেই মন পড়ে থাকে তাঁর।
এখন রোজ সকাল থেকেই হাজার ব্যস্ততা। মায়ের মন কিন্তু পড়ে রয়েছে কোলের ছেলেটার দিকে। মিটিং, মিছিল, প্রচার সবের থেকে একটু নিভৃতি পেলেই দেখে নিচ্ছেন আত্মজকে। বা জেনে নিচ্ছেন তার খবর। রূপালি জানালেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে একরত্তি ছেলে সৌমজিতের দেখাশোনার কাজটুকু কোনওরকমে সেরে ফেলতে চান তিনি। তার সারা দিনের খাবার তৈরি করা, তার জামাকাপড় পরিষ্কার করা, সব কিছু সেরে ভোটের তাগিদে পথে নামতে হচ্ছে রোজ। তবে কথায় এখনও সাবলীল নন। বললেন, “সকালে ঘুম থেকে উঠে ছেলের সব কাজ সেরে তারপর চা বানাই, টিফিন বানাই, তারপর ছেলেকে খাইয়ে দলের কাজ শুরু করি।”
ছেলেকে এক মুহূর্তের জন্যেও কাছছাড়া করেননি এতদিন। সেই অভ্যেস তো রাতারাতি যাওয়ার নয়। তাই এতদিন একরত্তি ছেলেকে কোলে নিয়েই রোদে হেঁটে প্রচারে বেরিয়েছেন। আর বিশ্রামের ফাঁকে ছেলেকে খাইয়ে আবার পথচলা শুরু করেছেন। কখনও পায়ে হেঁটে কখনও হুড খোলা গাড়িতে। কিন্তু গত দু দিনে গরম যেভাবে বেড়েছে, মায়ের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে রীতিমতো ক্লান্ত হয়ে পড়েছে ছেলে। তাই দলের নির্দেশে তাকে ঘরে রেখেই এখন প্রচারে বের হচ্ছেন। তাই মন পড়ে থাকে ঘরে। রাতে বাড়ি ফিরে জড়িয়ে ধরেন ছেলেকে, তাঁর প্রধান আশ্রয়কে।