আসন্ন লোকসভা ভোটে উত্তর মালদার প্রার্থী মৌসম বেনজির নুর। জোরকদমে প্রচার চালাচ্ছেন তিনি। সব জায়গাতেই মানুষ আপ্লুত তাঁকে নিয়ে। সকলেই মনে করছেন বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন তিনি।
মালদা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা— হবিবপুর, হরিশ্চন্দ্রপুর, চাঁচল, গাজল, মালতীপুর, রতুয়া ও মালদা। মৌসমকে লড়তে হবে মামাতো ভাই ও ভগ্নিপতি কংগ্রেসের ঈশা খান এবং বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক খগেন মুর্মুর সঙ্গে থাকছেন এবং সিপিএম প্রার্থী বিশ্বনাথ ঘোষ।
মালতীপুরের অল বেরুনি জুলকারনাইন কংগ্রেস বিধায়ক লোকসভা কেন্দ্রটির বিশ্লেষণে আবেগের চেয়ে যুক্তিকে গুরুত্ব দেন বেশি। বললেন, বিজেপি প্রার্থী দিলেও মৌসমের অসুবিধা হত হয়তো । খগেন মুর্মু গতবারের বাম সংগঠনের ভোটকে নিজের ভোট ভাবছেন যা খুব ভুল। যেমন, উত্তরে বরকতদার নামে কয়েকটি পকেটে প্রভাব পড়ে। সব জায়গায় নয়। কয়েকটি জায়গা ছিল রায়গঞ্জ কেন্দ্রের মধ্যে। বামেরা অনেক জায়গায় উদ্বাস্তু, আদিবাসী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সংগঠন বাড়িয়েছিল, সেখানে তৃণমূল নিজেদের কাজ দিয়ে মানুষের মন জয় করেছে। আর তাছাড়া সাধারণ মানুষও অন্য কোথাও নয়, ভরসা রাখছেন মমতার ওপরেই। এটা তাঁরা নিজেরাই জানাচ্ছেন।
জগজীবনপুরে এখনও গরু পাচার হচ্ছে। সেটা না ঠেকিয়ে সীমান্তরক্ষীরা স্থানীয় পূর্ববঙ্গীয় মানুষের ওপর অত্যাচার চালায়। যে কোনো বিপদে পাশে দাঁড়ায় তৃণমূল। পিএইচই–র বিশাল ট্যাঙ্ক থেকে আর্সেনিকমুক্ত পাইপের জল নিচ্ছিল যারা, তারাই বলল, ২০১৫ সালের আগে এ সুযোগ ছিল না। সার দিয়ে উদ্বাস্তু বাঙালি এবং রাজবংশী কিশোরীরা সাইকেল চালিয়ে স্কুলে যাচ্ছে। একজন বলল, বাম আমলে স্কুলে বেতনমুক্তি ঘটেছিল। কিন্তু যাব কী করে? পোশাক, ব্যাগ, জুতো? এ সব তৃণমূল দিয়েছে। তাছাড়া মৌসম মেয়েটা বেশ। কোতোয়ালিতে গেলে দেখা করে। কথা বলে। আমরা ওকেই চাই।
প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত এলাকায় এলাকায় সভা করছে তৃণমূল। তার মধ্যেই দাবি, শ্মশানে আলো চাই, পাইপের পানীয় জল চাই। দাবি মিটছেও। তাই সাধারণ মানুষ অন্য কোনও দলকে নয়, প্রাধান্য দিচ্ছেন তৃণমূলকেই। আর উত্তর মালদা একডাকে মৌসমকে চেনে। ভালোওবাসে। ফলে মৌসমের জয় যে কার্যত সময়ের অপেক্ষা তা বলছেন স্বয়ং এলাকার বাসিন্দারাই।