[Total_Soft_Poll id=”2″]
গতকাল সকাল ন’টা থেকে রানাঘাট কালীপদ চট্টোপাধ্যায় চিলড্রেনস পার্ক থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচার করেন রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী রূপালি বিশ্বাস। হুডখোলা গাড়ি করে এদিন রানাঘাট শহরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করেন প্রার্থী। এদিনের রোড-শোর অন্যতম আকর্ষণ ছিল রাফাল যুদ্ধ বিমানের মডেল। থার্মোকল, রং প্রভৃতি সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল ওই মডেল। যা দেখতে ভিড় জমান সাধারণ মানুষ।
এই রোড শো-তে নেতৃত্ব দেন রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গী হয়েছিলেন জেলাপরিষদের সভাধিপতি রিক্তা কুণ্ডু। এছাড়াও সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, চৌকিদার রাফায়েল কা চোর হ্যায়।’ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এমনই স্লোগানকে সামনে রেখে মঙ্গলবার রানাঘাট শহরে এই রোড-শো হয়।
অঙ্গনওয়াড়ির কর্মীরাও এদিন প্রার্থীর সমর্থনে সুবিশাল মিছিলে যোগ দেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী সমর্থনে এদিনের বর্ণাঢ্য র্যালিতে ধামসা মাদল সহযোগে ঝুমুর নাচ ও একাধিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল। যা দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করেছিলেন। সবার মাঝেই প্রার্থী এদিন প্রচার সারেন। তৃণমূলের নেতারা বলেন, লোকসভা নির্বাচনে ভোটপ্রচারে বিজেপিকে ব্যাকফুটে ফেলতেই তৃণমূলের এই অভিনব রোড-শো করা হয়েছে।
প্রচারে এদিন রানাঘাট শহরের তৃণমূল মহিলা কর্মী ও সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রচারে এসে রানাঘাটবাসীর উদ্দেশে প্রার্থী রূপালি এদিন বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমি রাজনীতিতে এসেছি। স্বামীর মৃত্যুর মানসিক কষ্ট ভুলে থাকার জন্য আমি আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে এলাকার উন্নয়নের কাজ করতে চাই। সেজন্য আপনাদের আশীর্বাদ আমি কামনা করি”। এলাকার মানুষ এদিন প্রার্থীকে দেখবার জন্য সকাল থেকেই রাস্তার দু’ অপেক্ষা করছিলেন। অনেকে পুষ্পবৃষ্টির মধ্য দিয়ে প্রার্থীকে স্বাগত জানান।
[Total_Soft_Poll id=”2″]
রাফাল ইস্যু নিয়ে রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মোদী নিজেকে চৌকিদার বলে জাহির করলেও রাফাল কাণ্ডের মতো ঘটনা বিগত ৭০ বছরেও ঘটেনি। এরকম নথি চুরির ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। তাই আমরা এই বিষয়কে সামনে রেখে আমরা প্রচার চালাচ্ছি”। তিনি আরও বলেন, “রানাঘাট পুরসভার কুড়িটি ওয়ার্ড থেকে বিপুল পরিমাণে ভোটের ব্যবধানে আমাদের প্রার্থী রুপালি জয়লাভ করবে বলে আমরা আশাবাদী”। অন্যদিকে, যুব তৃণমূল নেতা কামনাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “যেভাবে চুক্তি ছিল রাফাল নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার মানেনি। এক একটি রাফাল যুদ্ধ বিমান বরাদ্দকৃত অর্থের তিনগুণ বেশি মূল্যে ক্রয় করেছে। যা দেশের সাধারণ মানুষের কাছে কখনই কাম্য ছিল না। তাই এই ইস্যুকে সামনে রেখে বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের প্রচার চলছে”।
এই রোড-শো ছোটবাজার, সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, দে চৌধুরীপাড়া, রানাঘাট জিএনপিসি রোড, কামারপাড়া, বিশ্বাসপাড়া প্রভৃতি এলাকা হয়ে রানাঘাট চৌরঙ্গী মোড়ে এসে শেষ হয়। এরপর দলীয় কর্মীদের নিয়ে রানাঘাট পুরসভায় সাংগঠনিক বৈঠকে বসেন প্রার্থী রূপালি বিশ্বাস। পরে দুপুরের দিকে রানাঘাট বাজার সমিতির সংগঠনদের নিয়ে রানাঘাট পুরসভার সংলগ্ন ডিসপেনসারি লেনের একটি বেসরকারি প্রেক্ষাগৃহে আলোচনায় শামিল হন প্রার্থী রূপালি দেবী।