বড় ধাক্কা খেলেন অর্জুন সিং। ভাটপাড়া পুরসভার অনাস্থা ভোটে হেরে গেলেন তিনি। আজ সোমবার ভোটাভুটিতে ২২-১১ ব্যাবধানে হার হয় ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের এই বিজেপি প্রার্থীর। ফলে ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারিত করা হল বিজেপি নেতা অর্জুন সিংকে।
তৃণমূল থেকে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর দু’দিনের মধ্যে ভাটপাড়া পুরসভার কাউন্সিলরদের বিধানসভায় ডেকেছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক। সেই বৈঠকে ২২ জন কাউন্সিলর শাসক দলের নেতাদের কথা দিয়েছিলেন, অনাস্থা আনলে হারবেন অর্জুন। সেই মতো ব্যারাকপুর প্রশাসনিক ভবনে আবেদন জানানো হয় কাউন্সিলরদের পক্ষ থেকে। এসডিও বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। তা নিয়ে হাইকোর্টে যান অর্জুন। দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন, স্থগিতাদেশ দেওয়ার। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দেয়। ভোটগ্রহণ হয় এ দিন। আর তাতেই শোচনীয় হার হয় অর্জুনের। এর ফলে কার্যত নিজের খাস তালুকে মুখ পুড়ল অর্জুনের।
এদিন আস্থাভোটের শুরু থেকেই ব্যাপক চেঁচামেচি শুরু হয় পুরসভায়। ‘ওপেন ব্যালট’ থেকে ‘গোপন ব্যালটে’ ভোট করানো হয়। বিরোধিতায় বাতিল হয়ে যায় ওপেন ব্যালট ভোট প্রক্রিয়া। অশান্তির আশঙ্কায় এদিন সকাল থেকেই ভাটপাড়া পুরসভা চত্বর ছিল পুলিশে-পুলিশে ছয়লাপ। লোকসভা নির্বাচনের আগে এটা ছিল অর্জুন সিংয়ের অ্যাসিড টেস্ট। ১৮ জন কাউন্সিলরের সমর্থন পেলেই বোর্ড গঠন করতে পারত বিজেপি। কিন্তু ১১ জন কাউন্সিলার অর্জুনের সমর্থনে ভোট দেন। ২২ জন কাউন্সিলার তৃণমূলের পক্ষে দাঁড়ান। ফলে পরাজিত হতে হয় অর্জুনকে।
এ দিন কাউন্সিলরদের বৈঠকে সভাপতিত্ব কে করবেন তা নিয়েও ভোটাভুটি হয়। সেখানেও তৃণমূলের মনোজ গুহ জয়যুক্ত হন। সভাপতির কাছে একাধিক কাউন্সিলর দাবি জানান, অর্জুন সিং-কে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরাতে হবে। প্রস্তাব উত্থাপন করেন। অর্জুন দাবি করেন গোপন ব্যালটে ভোটাভুটি করতে হবে। তাতেই সম্মতি দেন সভাপতি। ভোট হয়। তাতে পরাজিত হন অর্জুন।