শনিবার সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত দেব পাঁশকুড়া বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ৮ জায়গায় প্রচারসভা করেন। সবকটি সভাতেই ঝড় তুলললেন দেব৷ কেন্দ্রের ব্যর্থতা নিয়ে তুলোধনা করলেন মোদীকে৷
আমড়াগোয়ালের সভায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার নালিশ ঠুকে দেব বলেন, “পাঁশকুড়া ও ঘাটাল এলাকার জন্য প্রথম প্রয়োজন ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। কিন্তু ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান ছাড়পত্র পেলেও তার জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়নি। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান শুরুর বিষয়ে আমার কাছে চিঠি এসেছিল। যেভাবে কাজ হচ্ছিল তাতে ছ–মাসের মধ্যে কাজ শুরু হয়ে যেত। আমি এটা ভেবেই এগোচ্ছিলাম। কিন্তু আচমকা জানতে পারলাম ফান্ড রিলিজ হচ্ছে না। যদি ফান্ড রিলিজ না হয়, তা হলে এই প্রকল্প পাশ হল কেন?”
দেব আরও জানান, “লোকে কাজ দেখতে চায়। মুখ্যমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী বা সংসদ সদস্যের কাজ দেখতে সকলে অপেক্ষা করে। কাজ দেখে মানুষ ভোট দেয়। কিন্তু আমি এই কাজের কথা মানুষকে বলতে পারলাম না। এবার জিতলে নতুন দেবকে আগামী পাঁচ বছর পার্লামেন্টে পাবেন।”
উন্নয়নের নিরিখে ভোটের আবেদন জানিয়ে দেব এদিন বলেন, “এবারের নির্বাচনটা একদম অন্যরকম হয়ে গেছে। বলা হচ্ছে, আপনারা ভোট দিলে রাম মন্দির হবে। আবার কখনও ধর্মের ভিত্তিতে ভোট চাওয়া হচ্ছে। মানুষ ভাল আছে কিনা, তা কেউ জানতে চাইছে না। গরিব মানুষ ও কৃষককে নিয়ে কেউ ভাবছে না। সবাই এখন হিন্দুত্ব ও যুদ্ধ নিয়ে ভোট চাইছে। কিন্তু মানুষ শান্তি চায়, দু–বেলা পেট ভরে খেতে চায়। কেন্দ্রীয় সরকারের নোট বাতিলের সময় দেশে ২ কোটির বেশি মানুষের চাকরি চলে গেছে। ১২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত পাঁচ বছরে সব থেকে বেশি কৃষক আত্মহত্যা হয়েছে। আমি চাই ২০১৯ সালের নির্বাচন উন্নয়ন নিয়ে হোক”৷
প্রচারে এসে এদিন দেব কার্যত চষে ফেলেন গোটা পাঁশকুড়ার অলিগলি। প্রার্থীর সঙ্গে এদিন দিনভর প্রচারে ছিলেন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, বিধায়ক ফিরোজা বিবি, শঙ্কর দোলই, পাঁশকুড়া পুরসভার চেয়ারম্যান নন্দকুমার মিশ্র, পাঁশকুড়া পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতি কুরবান আলি শা–সহ অন্যান্য নেতারা।