প্রথম থেকেই প্রচারে দারুণ ভাবে সাড়া পাচ্ছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। চাপড়ার হাতিশালা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের শোনপুকুর থেকে সোমবার সকাল ১০টায় প্রচার শুরু করার কথা ছিল তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের। নির্ধারিত সময়ের আগেই এলাকায় পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রার্থী। প্রচার শুরু হয় সুটিয়া গ্রাম থেকে।
সংখ্যালঘু অধ্যুষিত গ্রামে প্রার্থী পৌঁছাতেই উন্মাদনা দেখা গেল দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। রামের মহিলারা প্রার্থীকে দেখার জন্য গৃহস্থের কাজ ফেলে বেরিয়ে আসেন। ভিড় বাড়ে কিশোর কিশোরীদের। কেউ কেউ মুঠো ভর্তি গাঁদা ফুল প্রার্থীর মুখের দিকে ছুঁড়ে দেয়। প্রচারে এদিন মহুয়ার পাশে ছিলেন চাপড়ার তৃণমূলের দাপুটে নেতা, দলীয় ব্লক সভাপতি জেবের শেখ। প্রার্থীর গাড়িতে ছিলেন একজন অবাঙালি মহিলা। যিনি ডায়েরির পাতায় বিভিন্ন বিষয় নোট করছেন। প্রার্থীর গাড়ির পিছনে ছিল আরও একটি হুড খোলা জিপ। যেখানে ছিলেন ব্লকস্তরের অন্যান্য নেতারা। তার পিছনে ছিল আরও দু’তিনটে গাড়ি, টোটো এবং বাইকের মিছিল।
চড়া রোদ্দুরেও তৃণমূল প্রার্থী দুপুর দুটো পর্যন্ত হাতিশালা, মহেশনগর, জিঠা ও সংলগ্ন গ্রামগুলিতে জোরকদমে প্রচার চালান। এই এলাকাটি হাতিশালা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে শাসকদল। শুধু এই গ্রাম পঞ্চায়েতই নয়, চাপড়া পঞ্চায়েত সমিতিও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শাসক দলের দখলে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার কারিগর ব্লক সভাপতি জেবের শেখ।
কাঁচা রাস্তার ধুলো উড়িয়ে প্রার্থীর গাড়ি যেতেই এক গ্রাম থেকে আরেক গ্রামে উৎসাহী গ্রামবাসীদের ভিড় বাড়ে। সেখানে স্লোগানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম প্রতিধ্বনিত হয়েছে বারবার। অন্যদিকে, মাইকে ভেসে আসা স্লোগানে সমস্বরে কিশোর-কিশোরী থেকে গ্রামের মহিলারা সকলে গলা মিলিয়ে বলেন, ‘এই বিজেপি আর না, আর না!’ মহুয়া জানান, মানুষ ভরসা রাখলে আরও বেশি করে কাজ করতে চান তিনি।