রবিবার এক আদ্যোপান্ত ছুটির দিন তবে জনসংযোগের ক্ষেত্রে রবিবারকেই বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন প্রার্থীরা। তাই ছুটির আমেজ উপেক্ষা করেই দিনভর প্রচারে ব্যস্ত তৃণমূল প্রার্থীরা। কেউ নেচে, কেউ ধামসা বাজিয়ে তো কেউ ঘোড়ায় চেপে সারলেন প্রচার।
আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন রবিবাসরীয় প্রচারে বেছে নিয়েছিলেন আদিবাসী নৃত্য। মাদলের তালে তালে পা মেলান নিজেও।গতকাল থেকে পঞ্চায়েত স্তরে পাঁচগাছিয়া অঞ্চলে প্রকাশ্য জনসভার মাধ্যমে তার দ্বিতীয় দফার প্রচার শুরু করলেন তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন৷ রবিবারের ওই প্রকাশ্য জনসভায় প্রার্থীকে ঘিরে স্থানীয় মানুষের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতো৷ এদিন বারাবনিতে উপস্থিত ছিলেন অনেক আদিবাসী মহিলা। সভায় তাঁদের নাচতে দেখে এগিয়ে যান মুনমুন। তাঁদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন তিনি। আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে ধামসা–মাদলের তালে তৃণমূল প্রার্থীকে নাচতে দেখে চারদিকে আলোড়ন পড়ে যায়৷ স্থানীয় মানুষও ছুটে আসেন ওই সভায়।
তারকা প্রার্থী দেব গতকাল ঘাটাল লোকসভার সবং এবং ডেবরায় কর্মীসভা করেন। বাঁকুড়াতেও কর্মীসভার আগে ধামসা বাজালেন তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। বনগাঁ কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুরের সমর্থনে বনগাঁ শহরে মহিলাদের নিয়ে কর্মিসভা করেছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বনগাঁর পাইকপাড়া এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচার এবং পদযাত্রা করেছেন মমতা ঠাকুর।
বারাসতের নীলগঞ্জ এলাকায় কর্মীসভা করে প্রচার করেন বারাসতের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদার। তাঁর সঙ্গে মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ এবং উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূলের কার্যকারি সভাপতি নারায়ণ গোস্বামী উপস্থিত ছিলেন। শতাব্দী রায়ও বেছে নিলেন হরিনাম সংকীর্তনকে। শিলিগুড়িতে প্রচার করেন অমর সিং রাই। সব মিলিয়ে গোটা দিন জুড়ে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেলেন মমতার সৈনিকেরা।