হাওড়া স্টেশনে হকার উচ্ছেদ অভিযানে জোরকদমে নামছে আরপিএফ। ভোটের আগে স্টেশনে যাত্রী–সুবিধায় এবং নিরাপত্তার খাতিরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আরপিএফ সূত্রে জানা গেছে। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে স্টেশনে অফিসারদের কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্টেশনে কিছু বিক্রি করতে দেখা গেলেই হকারদের গ্রেফতার করা হবে। এই কারণে স্বাভাবিক ভাবেই দুশ্চিন্তায় পড়েছেন হকাররা। শুক্রবার হাওড়া ডিভিশনের ডিভিশনাল সিকিউরিটি কমিশনার আর কে ত্রিপাঠী বলেন, “স্টেশন এবং রেলের জমিতে যদি কোনও হকারকে দেখা যায়, তবে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা শুরু করা হবে। এমন নয় যে শুধুমাত্র স্টেশন-চত্বরেই হকারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। স্টেশনের বাইরে রেলের জমিতেও যারা বেআইনি ভাবে দোকান খুলে বসেছেন, সেই দোকানগুলিও আমরা তুলে দেব”।
এর আগেও স্টেশনে হকারদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে রেল। যাত্রীদের একাংশও রাতের দিকে হাওড়া স্টেশনের সাবওয়েগুলির অবস্থা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। আর কে ত্রিপাঠী বলেন, প্রশ্ন উঠেছে হকারদের জীবন ও জীবিকা নিয়ে। বছরের পর বছর ধরে স্টেশন এবং ট্রেনে ব্যবসা চালিয়ে নিজের ও পরিবারের অন্নের ব্যবস্থা করছেন তাঁরা। রেলওয়ে হকার্স কংগ্রেস (হাওড়া স্টেশন প্ল্যাটফর্ম)–এর সভাপতি স্বপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বিকল্প ব্যবস্থা না করে যদি হকার উচ্ছেদ হয়, তবে আমরা আন্দোলন করব। ওল্ড এবং নিউ কমপ্লেক্স মিলিয়ে হাওড়ায় আমরা ৩০০–র কাছাকাছি হকার কাজ করছি। প্রত্যেকের পরিবার আছে। ফলে এটা আমাদের কাছে অত্যন্ত দুশ্চিন্তার বিষয়”।