বৃহস্পতিবারের বারবেলা। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারে পালিত হল অকাল ভাইফোঁটা। উলুধ্বনি শাখের শব্দে মুখরিত হল আকাশ। পথ চলতি মানুষের মধ্যে হল লাড্ডু বিলি। এই অকাল ভাইফোঁটার আয়োজন করার উদ্দেশ্য ছিল ভোট প্রচারে কিছু নতুনত্বের স্বাদ আনা।
সশরীরে উপস্থিত না থাকলেও এদিন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কেই প্রথম ফোঁটা দেওয়া হয়। সকাল সকাল বজবজ ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রীতা মিত্র, মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী রুনা দাস সাঁতরা-সহ আরো অনেকে। যুব তৃণমূল সভাপতির কপালে সকলেই এঁকে দিলেন তিলক৷ ধান-দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করলেন তাঁরা। মুখে ছোঁয়ানো হল লাড্ডু।
এরপর ই পাড়ায় পাড়ায় খোল-করতাল নিয়ে মিছিল করে ঘুরলেন কর্মী সমর্থকেরা। অভিষেকের নামে চলল জয়ধ্বনি। রাস্তার মানুষদের কপালে এঁকে দিলেন জয়তিলক। জোড়া-ফুল আঁকা লাড্ডু খাওয়ানো হল পথচলতি মানুষকে।
পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রীতা মিত্র বললেন, “অভিষেক বন্দোপাধ্যায় গত পাঁচ বছরে এলাকার উন্নয়নে যা কাজ করেছেন তাতে সকলে ভীষণ খুশি। আশা করি এবার মানুষ তাঁকে রেকর্ড ভোটে জেতাবে”। এদিন সকল ধর্মের মানুষকে নিয়েই ছিল এই অকাল ভাইফোঁটার আয়োজন। মানুষে মানুষে বিভেদ থাকবে কেন? আমরা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের আদর্শে বিশ্বাসী, জানালেন রীতা মিত্র।