কোনও দলত্যাগী নেতা নয়, দলেরই লড়াকু কাউকে প্রার্থী করা হােক হাওড়ায়। প্রার্থী বাছাইয়ের আগেই এ কথা সাফ জানিয়ে দিল জেলা নেতৃত্ব। প্রার্থীর নাম ঘােষণা হতেই রাজ্যের অধিকাংশ কেন্দ্রেই শুরু হয়ে গেছে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। আর হাওড়াযর ক্ষেত্রে দেখা গেল, প্রার্থী ঘােষণার আগেই প্রকাশ্যে চলে এলো জেলা বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। জেলা নেতৃত্বের স্পষ্ট কথা, স্বনামধন্য কেউ প্রার্থী হলে আপত্তি নেই। কিন্তু তাকে লড়াকু এবং প্রতিবাদী হতে হবে। সেইসঙ্গে দলের কর্মীদের বিপদে-আপদে সবসময় তাকে পাশে থাকতে হবে। দলের রাজ্য নেতাদের ইতিমধ্যেই এ কথা জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির হাওড়া জেলার কয়েকজন নেতা।
অন্য দল ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে এসে অনেকেই এবার বিজেপির প্রার্থী হয়ে গেছেন। হাওড়ায় তেমনটা চলবে না বলে জেলা নেতারা রাজ্য নেতৃত্বকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। বিজেপির হাওড়া জেলার নেতা উমেশ রাই জানান, হাওড়ায় দল এখনও কাউকে প্রার্থী করছে না কেন বুঝতে পারছি না। যেখানে তৃণমূল ও বাম প্রার্থীরা প্রচার শুরু করে দিয়েছেন, সেখানে প্রার্থী ঘোষণা না হওয়ায় আমরা প্রচারে নামতে পারছি না। আমরা নেতৃত্বকে বলেছি, লড়াকু ও পরিচিত কোনও নেতাকে এখানে প্রার্থী করা হােক। দলত্যাগী কাউকে যেন এখানে প্রার্থী না করা হয়।
উল্লেখ্য, হাওড়ায় তৃণমূলের প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় জোরকদমে প্রচারে নেমে পড়েছেন। তাঁর সমর্থনে হাওড়া শহর দেওয়াল লিখন, ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। বুধবার তৃণমূল হাওড়া পুর এলাকা, মহা মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রচার চালাচ্ছেন। সেই জায়গায় বিজেপি অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ফলে হতাশায় ভুগছেন বিজেপির
হাওড়ার কর্মী-সমর্থকরা। তাঁদের আশঙ্কা, এই অবস্থায় কোনও বহিরাগত কিংবা দলত্যাগী কাউকে প্রার্থী করা হলে দলীয় কর্মীরা আরও হতোদ্যম হয়ে পড়বেন। দলও আরও পিছিয়ে পড়বে।