জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোট ঘোষণা হওয়ার আগেই গোটা মুর্শিদাবাদ জেলাজুড়ে বুথভিত্তিক সমীক্ষা অভিযানে নেমেছিল জেলা তৃণমূল। সেই সমীক্ষার রিপোর্ট আসতেই দেখা গেল মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি লােকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে রাজ্যের শাসক দল। সােমবার দলের বুথভিত্তিক সমীক্ষা রিপোর্ট হাতে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি অশােক দাস বলেন, হার নিশ্চিত বুঝতে পেরে সিপিএম ও বিজেপির ‘দোসর’ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী এখন পাগলের প্রলাপ বকছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর এই তিনটি লােকসভা কেন্দ্রে মোট বুথের সংখ্যা ৫৭০৬টি। ইতিমধ্যেই প্রতিটি বুথে নির্বাচনী কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির নুন্যতম ১৫ জন করে সদস্য আছেন। কমিটির সদস্যরা তিন-চারটি দলে ভাগ হয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা চালান।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সামাজিক প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা মিলছে কিনা, এলাকার রাস্তা, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও স্কুলের পরিকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে কিনা, মহিলারা স্বনির্ভর হয়েছেন কিনা, ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা পাশে থাকেন কিনা, সরকারের উন্নয়নে খুশি নাকি অখুশি এমন একগুচ্ছ প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করেন। পাশাপাশি, উন্নয়নমূলক কাজকর্ম নিয়ে বাসিন্দাদের মতামত লিপিবদ্ধ করেন।
ফলে রিপাের্ট পাওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের জেলা নেতারা রীতিমতো উচ্ছ্বসিত। ওই রিপাের্ট সামনে রেখে বহরমপুরে দলের টাউন কার্য্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি অশোকবাবু। সম্মেলনে দলের টাউন কমিটির সভাপতি নাড়ুগােপাল মুখােপাধ্যায় উপস্থিত ছিলেন।
অশােকবাবু বলেন, দলের বুথ ভিত্তিক সমীক্ষা রিপোর্টে উল্লেখ আছে, জেলাবাসী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে খুশি। তারা তৃণমূলের সঙ্গে থাকার কথা জানিয়েছেন। প্রতিটিতেই তৃণমূল এগিয়ে রয়েছে। তাই এবারের লােকসভা ভােটে জেলার তিনটি কেন্দ্রেই কংগ্রেস নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এমনকি ভােটের দিন কংগ্রেস কোনও বুথে এজেন্ট দেওয়ার লােকই পাবে না।
বহরমপুর কেন্দ্রের প্রার্থী তথা কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীকেও আক্রমণ করেন তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি। তিনি বলেন, অধীরবাবুর সঙ্গে কোনও লোকবল নেই। এখন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মানুষের সহানুভূতি অর্জনের চেষ্টা করছেন। হার নিশ্চিত বুঝতে পেরে জেলাশাসক ও পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন। অধীরবাবু দিশাহারা হয়ে পাগলের প্রলাপ বকছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়নকে সামনে রেখেই এবার সিপিএম ও বিজেপির ‘দোসর’ অধীরবাবুকে উচিত শিক্ষা দেব।