ছিলেন টলিউডের সুপারস্টার। একাধিক হিট ছবি তাঁর ঝুলিতে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক কথাতেই বিরোধীদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়ে রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়। গত লোকসভা নির্বাচনে ঘাটাল আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে আড়াই লক্ষেরও বেশি ভোটে জিতেছিলেন দীপক অধিকারী ওরফে দেব। আর তাই দল চাইছে এবার জয়ের ব্যবধান হোক অন্তত সাড়ে তিন লক্ষ।
দলের চাহিদা পূরণ করতে পারবেন বলেই মনে করছেন দেব। এবং বিগত ৫ বছর সংসদীয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকায় এখন তাঁর আত্মবিশ্বাসও তুঙ্গে। শুধু তাই নয়। এইবার তাঁর সঙ্গে রয়েছেন গতবার তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে থাকা ‘ডাক্তারবাবু’ মানস ভূইঞা।
বুধবারই প্রথম ভোট প্রচারে ঘাটালে এসেছিলেন দেব। বলেন, মানুষ যাকে পছন্দ করবে তাকেই ভোট দেবে। তবে ফের জিতলে এলাকা ও বাংলার উন্নয়ন চেয়ে নিজের মাতৃভাষাতেই সংসদে সরব হবেন বলে ঘাটালের দলীয় কর্মী সভায় জানিয়েছেন তিনি। তাঁর সাফ কথা, অন্য দল কারা কী ভাবল, কী বলল, সেসবে কান না দিয়ে ভোট শান্তিপূর্ণভাবে করাতে হবে।
গত নির্বাচনে ঘাটাল আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে লড়াই করে মানস ভূইঞা পেয়েছিলেন ১২২৯২৮ ভোট। আর দেব পেয়েছিলেন ৬৮৫৬৯৬ ভোট। জয়ের ব্যবধান ছিল ২৬০৬৯৬। মানসের মনে অবশ্য গতবারের পরাজয় নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই। তিনি দাবি করেন, তাঁকে যখন এখানে লড়তে বলা হয়েছিল, তখনই তিনি জানতেন পরিণতি কী হতে চলেছে। এবারও দেবের জয় নিয়ে নিঃসন্দেহ তিনি। তবে তাই বলে তৃণমূল কর্মীরা প্রচার করবেন না তা নয়।
অপর দিকে দেব বলেন, গতবার রাজনীতি নিয়ে তাঁর কোনও ধারনা ছিল না। সেই বার ছিল তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি। গতবার ‘ডাক্তারবাবু’র সঙ্গে লড়াই করে জিতে প্রথম তাঁরই আশীর্বাদ নিয়েছিলেন। তারপর থেকে রাজনীতির অনেক কিছু শিখেছেন। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর মনে হারা জেতা নিয়ে কোন ভয় নেই। জিতলে মানুষের জন্যই কাজ করবেন। যে স্বপ্ন তাঁদের দেখাচ্ছেন তা পূরণ করার আশা করেছেন তিনি।
একই সঙ্গে আরও একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি শ্রদ্ধা ঝড়ে পড়ে তাঁর কথায়। তিনি বলেন, মমতা যেভাবে বাংলায় কাজ করে চলেছেন, তা অন্য কেউ করে পারেনি। তাই এমন ব্যক্তির হাতেই দেশ চালানোর দায়িত্ব থাকা উচিত। মমতার উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিয়ে যেতেই এবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ভোট-বৈতরণীতে নেমেছেন দেব-মানস।