মুর্শিদাবাদের তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ী করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপহার দেওয়ার শপথ নিলেন নেতা-কর্মীরা। বহরমপুর ওয়াইএমএ মাঠে নির্বাচনী সভায় উপস্থিত ছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম,বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল, মন্ত্রী জাকির হোসেন, জেলা সভাপতি সুব্রত সাহা, যুবনেতা সৌমিক হোসেন-সহ জেলা নেতৃত্ব। মুর্শিদাবাদের তিন প্রার্থীও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে অবুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘বেইমান অধীর আর খুনি সিপিএম হাতে হাত মিলিয়েছে। আমাদের কিছু হবে না। হাতে পাঁচন রাখুন। কোনও ভয় পাবেন না। কেউ চোখ রাঙালে আপনিও চোখ রাঙান। হাত তুললে হাত নামিয়ে দিন। মুর্শিদাবাদ হল উর্বরা জমি। মনের আনন্দে চাষ করুন। চাষে কেউ বাধা দিতে এলে পাঁচনের বারি মেরে তাকে সোজা করে দিন।’ এরপরেই নিদান দেন, ‘মুর্শিদাবাদের জমি উর্বরা। ঠিক এইভাবে চাষ করুন। অধীরের মতো বেইমানরা চোখ রাঙালে পাঁচন মেরে সোজা করুন। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি।’ কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘কী পাঁচন ধরতে পারবেন তো?’ কর্মীরা সমবেত ভাবে বলে ওঠেন, ‘পারব,পারব।’ অনুব্রত আরও বলেন, ‘বিএসএফ, সিআরপিএফ এসেছে। তো কী হল? আসতে দিন। ঘুরুক। আপনারা আপনাদের ভোট করুন। আমি পাশে আছি। ডাকলেই চলে আসব।’
মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বিজেপি সাম্প্রদায়িক দল। আমরা জানি। কিন্তু আরও এক ভয়ঙ্কর শত্রু আছে, তাঁর নাম অধীর চৌধুরি। তিনি হলেন অচেনা শত্রু। এরাজ্যে কংগ্রেস বরাবরই ছিল সিপিএমের ‘বি টিম’। আর অধীরের মতো নেতা এসে কংগ্রেসকে করেছে সিপিএমের এ টিম। তলে তলে তো বিজেপি-র সঙ্গে আঁতাত রয়েছে। আপনারা কি জানেন, অধীরের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু কে? যোগী আদিত্যনাথ। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। নিজের দলে কেউ তাঁর বন্ধু নন। অধীর নিজের স্বার্থে খুনি সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। সেজন্য মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসিরা দল ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন। অধীরকে তো হারাতেই হবে, তার সঙ্গে বিজেপিকেও দূর করতে হবে।’
জেলার কার্যকরী সভাপতি সৌমিক হোসেন বললেন, ‘মুর্শিদাবাদে তৃণমূল এক নম্বর দল। আগে অধীরবাবুরা বলতেন, তৃণমূলকে অনুবীক্ষণ যন্ত্রেও খুঁজে পাওয়া যায় না। কিন্তু সেই অধীরবাবুর দল কংগ্রেসকে আর দেখতে পাওয়া যায় না। একই হাল সিপিএমের। পঞ্চায়েত ভোটে প্রমাণিত হয়েছে। বিরোধীরা সব বুথে এজেন্ট দিতে পারবেন তো? আমরা তিনটি কেন্দ্র দিদিকে উপহার দেব।’