মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মুহূর্তে ঘোষণা করলেন আসন্ন লোকসভা ভোটে যাদবপুর থেকে প্রার্থী হচ্ছেন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী, খুশির রেশ আছড়ে পড়ল জলপাইগুড়িতে। এইখানেই ছোট থেকে বড় হয়েছেন মিমি।
জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন মিমি৷ লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়ছেন৷ শাসক দলের প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পর একইরকমভাবে উচ্ছ্বসিত জলপাইগুড়ির বাসিন্দারা৷ গলির মোড়ে মোড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে আলোচনা। যেন যুদ্ধের কৌশল ঠিক করতে বসে পড়েছেন একে অপরে। রাজনীতিতে এক্কেবারেই নবাগত মিমি৷ ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অভিনেত্রীর মামা রাম চক্রবর্তী। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক পদের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। দক্ষ সংগঠক হিসেবেও রাজনৈতিক মহলে তাঁর পরিচিতি৷ তাই ভোটের প্রচারে মামাকে পাশে চেয়েছেন মিমি৷ ভাগ্নির ডাক পেয়ে আর ফেরাতে পারেননি মামা৷ জানান, রাতেই ব্যাগ গুছিয়ে রাখছেন। দ্বিতীয় দফায় জলপাইগুড়িতে ভোট। জেলার ভোট শেষ করেই চলে যাবেন ভাগ্নির কাছে। একা নন, তাঁর সঙ্গে যাবেন মিমির বেশ কয়েকজন প্রতিবেশী৷ মিমির মামা বলেন,‘‘জলপাইগুড়ির ভোট শেষ হলেই গন্তব্য কলকাতা। মিমিকে জেতাতে হবে যে!’’
মিমির দূরসম্পর্কের আত্মীয় ও প্রতিবেশী সঙ্গীতা দাস বলেন, ‘চার–পাঁচ বছর বয়সেই অরুণাচল থেকে জলপাইগুড়িতে চলে এসেছিল মিমি। ওদের বাড়িতে সবসময় আসা–যাওয়া ছিল আমার। ছোট থেকেই ছিল খুব ডানপিটে গোছের। নাচ, গান নিয়ে মেতে থাকত সারাক্ষণ। ছোট থেকেই খুব স্মার্ট। চলন বলনেও ছিল সকলের থেকে আলাদা। রাজনীতিতে আসায় আমরা খুব খুশি।’
গতকাল ঘোষণার পর থেকেই প্রচারে নেমে পড়েছেন মিমি। শুরু হয়ে গেছে তাঁর নামে দেওয়াল লিখনও। দুপুরে প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর বিকেলেই তিনি নিজের কেন্দ্র যাদবপুরে প্রচারে নেমে পড়েন। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন তিনি। দলীয় কর্মীরা তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। কিন্তু কাজ যে এখনও অনেক বাকি, তা জানেন মিমি। তাই এখন সেদিকেই মনোনিবেশ করতে চান। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্র অনেক বড়। তাই আজ থেকেই স্নিকার্স পরে প্রচারের কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। নেমে পড়েছেন ময়দানে। কেরিয়ারের মধ্যগগণে রাজনীতি ও ফিল্ম সামলানো খুব একটা সহজ কাজ নয়। কিন্তু তিনি এর আগে একাধিক কাজ একসঙ্গে করেছেন। তাই এবারও যদি অভিজ্ঞ মানুষের আশীর্বাদের হাত মাথায় থাকে, তাহলে তিনি অবশ্যই এক্ষেত্রেও সফল হবেন।