আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থীতালিকা গতকাল ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার ঝাড়গ্রাম লোকসভা আসনে নতুন মুখ। তৃণমূলের প্রার্থী বীরবাহা সোরেন। আদিবাসী সমাজের এই মহিলা পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। সাঁকরাইলের রোহিণী বালিকা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা। স্বামী রবীন টুডু পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির বাড়িদা হাই স্কুলের শিক্ষক তথা আদিবাসীদের সামাজিক সংগঠন ‘ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহল’–এর জেলা স্তরের নেতা। বীরবাহা সোরেনের দুই ছেলে-মেয়ে।
কেবলমাত্র শিক্ষিকা নন, গ্রামের দুঃস্থ পড়ুয়াদের পাশে থাকেন বীরবাহা সোনের। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের সমাজে আরো এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেন তিনি। মমতার উন্নয়নের ধারা ঝাড়গ্রামেও বয়ে নিয়ে যাবেন বীরবাহা এমনটাই মনে করেন গ্রামের মানুষ। বীরবাহা সোরেন ঝাড়গ্রামের প্রার্থী ঘোষণা হবার পর, সাঁকরাইল ব্লকের যুব তৃণমূলের কার্যনির্বাহী সভাপতি শান্তনু ঘোষ বলেন, “শুধু রোহিণী বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক–শিক্ষিকাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক নয়, দুঃস্থ ছাত্র–ছাত্রীদেরও পাশে থাকেন উনি”। লোধাশবর কল্যাণ সমিতির জেলা সম্পাদক বলাই নায়েক বলেন, “আদিবাসীদের চাহিদা সামান্য, কাজ করলেই খুশি আমরা”।
বীরবাহা সোরেনের জন্ম ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনি থানার পড়িহাটির কাছে ছোট বনসরো গ্রামে। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনার পর বিনপুরের দহিজুড়ির কাছে রানারানি আদিবাসী হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক। জামবনির এড়গোদা নিত্যানন্দ বিদ্যায়তন থেকে উচমাধ্যমিক। তারপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক বীরবাহা সেবাভারতী থেকে বিপিএড করেন তিনি। বীরবাহা সোরেনের বাড়ি সাঁকরাইলের রোহিণীতেই। এবার ঝাড়গ্রামের উন্নয়নের জন্য কাজ করবেন এমনটাই তার ইচ্ছে।