বাম আমলে জঙ্গলমহলের নামে ত্রাস জন্মাতো সকলের মনে, জঙ্গলমহল হয়ে উঠেছিল মাওবাদীদের আখড়া। পরিস্থিতি বদলালো বাংলার শাসন ক্ষমতার হাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরার পর। আমুল বদলে গেল জঙ্গলমহল। উন্নয়নের আলো গিয়ে পড়ল জঙ্গলমহলে। মমতার জন্যই মাও-সমস্যা মিটে গিয়ে জঙ্গলমহলে শান্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে। ২০১১ সালের আগে যা পরিস্থিতি ছিল, এখন তা বদলে গিয়েছে। বিগত ৮ বছরে মাওবাদী শক্তি মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি। বুধবার জঙ্গলমহল কাপ ও সৈকত কাপের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসে একথা বলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, “ বাম আমলে যে সব কাজ হয়নি, তৃণমূলের আমলে তা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা সম্ভব করে দেখিয়েছেন। বামেরা কখনও এসব খেয়াল করেনি”। তিনি আরও বলেন, “ জঙ্গলমহলে শান্তির পরিবেশে তৈরি হওয়ায় যুব সমাজ খেলাধুলোয় এগিয়ে এসেছে। জঙ্গলমহল কাপে ৭০৯টি ক্লাব ও সৈকতে কাপের খেলায় ৪০৫টি ক্লাব অংশ নিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ভাল খেলোয়াড়দের সিভিক পুলিশে নিয়োগ করা হবে। পুরুলিয়া জেলা থেকেও ৩৫ জন সিভিক পুলিশ নিয়োগ করা হবে। আমাদের সরকার মুখেই শুধু বলে না, যা বলে, তা–ই করে দেখায়। আর কেউ কেউ বড় বড় কথা বললেও কাজে কিছু করে না। জন্ম থেকে মৃত্যু এই সরকার পাশে রয়েছে। ৮ বছর আগে খেলার কালচার ছিল না। বাম আমলে সামাজিক কোনও প্রকল্প হয়নি। খেলা মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে। জেলা পুলিশ খুব ভাল ভাবেই খেলার মাধ্যমে জনসংযোগ স্থাপন করেছে”।
পুরুলিয়া জেলা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে রঘুনাথপুর স্টেডিয়ামে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ছিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাঁকুড়ার সাংসদ মুনমুন সেন, পুরুলিয়ার সাংসদ মৃগাঙ্ক মাহাতো, পশ্চিামাঞ্চল উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো, অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ ও আদিবাসী উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্র মন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডু ও পুরুলিয়া জেলা সভাধিপতি সুজয় বন্দোপাধ্যায়, পুরুলিয়ার পুলিশ সুপার আকাশ মাঘারিয়া ও জেলা শাসক রাহুল মজুমদার প্রমুখ। খেলার বিষয়ে তিনি বলেন, “ পুরুলিয়ার ছেলেমেয়েদের মধ্যে সম্ভাবনা রয়েছে কিছু করে দেখানোর। তাই আয়োজন করা হয়েছে এই প্রতিযোগিতার”। মাঠের ঝগড়া–ঝামেলা মাঠে রেখে সকলে একত্রিত হয়ে উন্নয়নের কাজে এগিয়ে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।