ভারতীয় পাইলটকে গ্রেফতার করা হয়েছে দাবি করে এদিন দুপুরে একটি ভিডিও প্রকাশ করে পাকিস্তান। দুপুর ২টো নাগাদ গভর্মেন্ট অফ পাকিস্তানের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে প্রকাশিত ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তিকে বন্দী করে রাখা হয়েছে। সেই বন্দী ভারতের পাইলট উইং কমান্ডার অভিনন্দন বলে দাবি করে পাকিস্তান। ভারতের একটি মিগ-২১ ধ্বংস করেছে পাক বায়ুসেনা। কিন্তু ভারতে বিমান হামলা চালানোর কয়েক ঘন্টা পরে ফের শান্তি-আলোচনার আহ্বান জানালেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
বুধবার বিকেলে জাতির উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেন ইমরান। তিনি বলেন, আমরা দেখাতে চাইছিলাম যে চাইলে আমরাও নিয়ন্ত্রণ রেখা টপকে ভারতে আঘাত হানতে পারি। তবে ভারতের কোনওরকম ক্ষতি বা সমান্তরাল ক্ষয়ক্ষতি সাধনের কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল শুধু ইসলামাবাদের ক্ষমতা দেখানো। কিন্তু ওই ঘটনার সময়েই ভারতের দুটি মিগ বিমান পাকিস্তানের দিকে ঢুকে পড়ে। পাইলট আমাদের কব্জায় রয়েছে। তবে যা হয়েছে তা হয়েছে। আমি আশা করব ভারত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পদক্ষেপ করবে। কারণ, পৃথিবীতে যত যুদ্ধ হয়েছে তার সবকটিতেই হিসেবের ভুল ছিল। কখনই হিসেব মেলেনি। তা সে বিশ্ব যুদ্ধ হোক বা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে আমেরিকার লড়াই।
পাক প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘ভারতের কাছে যা হাতিয়ার রয়েছে বা পাকিস্তানের কাছে যা হাতিয়ার রয়েছে, তাতে উত্তেজনা বাড়লে পরিণতি কী দাঁড়াবে কেউ বলতে পারে না। তা যেমন নরেন্দ্র মোদীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে না, তেমনি তাতে নিয়ন্ত্রণে থাকবে না ইমরান খানেরও। তাই পাকিস্তান এখনও শান্তিপূর্ণ আলোচনায় রাজি। সেই সঙ্গে পুলওয়ামা কাণ্ডের তদন্তে সবরকম সাহায্য করতে প্রস্তুত। কারণ, আমরাও চাই না সন্ত্রাসবাদের জন্য আমাদের দেশের মাটি ব্যবহার করা হোক।’
ইমরানের এই বক্তব্য নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও দেয়নি নয়াদিল্লী। তবে সাউথ ব্লকের কূটনীতিকরা বলছেন, চাপে পড়েই এখন এ কথা বলছেন ইমরান। কারণ, ইসলামাবাদ বুঝতে পারছে নয়াদিল্লীর সঙ্গে সামরিক সংঘাতে গেলে তাদের অস্তিত্বই সংকটে পড়তে পারে। এমনিতেই ঘোর দারিদ্রে ধুঁকছে পাকিস্তান। কোনও রকম সামরিক অভিযানের খরচ চালানোর রসদই নেই তাদের। তাই এ সব কথা বলে এখন বাঁচার চেষ্টা করছে ইসলামাবাদ। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছে যে ওঁরা শান্তি চান।