কাশ্মীরের পরিস্থিতির অবনতির জন্য নাম না করে মোদী সরকারকেই দায়ী করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও প্রাক্তন সেনা কর্তা ভিকে সিং। তিনি বলেন, ‘২০০৫ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত কাশ্মীর শান্ত ছিল। এরপরেই উপত্যকার পরিস্থিতি খারাপ হয়েছে’। উল্লেখ্য, ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রে সরকার চালিয়েছে ইউপিএ জোট।
পাশাপাশি পুলওয়ামা কান্ড নিয়েও মুখ খুলেছেন ভিকে সিং। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘গত কয়েকদিনে ৪০ টি দেশ পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় সতর্ক করেছে। একে আমাদের বিদেশমন্ত্রকের সাফল্য বলেই ধরতে হবে। ২৬/১১-র জঙ্গি হানার পরেও এতগুলি দেশ মিলে পাকিস্তানের নিন্দা করেনি’। ভিকে সিংয়ের কথায়, ‘সেনাবাহিনী কীভাবে বদলা নেওয়ার কথা ভাবছে তিনি জানেন না। তবে যে কোনও অ্যাকশনের পরিকল্পনা খুব ভেবেচিন্তে করতে হয়। এক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো করলে চলে না’। পাশাপাশি জম্মু-কাশ্মীর থেকে আর্টিকেল ৩৭০ তুলে নেওয়ার জন্য সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে একজোট হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
পুলওয়ামা হামলার পর জঙ্গী ডেরা খতম করা নিয়ে ভিকে সিং আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘আমেরিকা বহুদিন ধরে জানত যে, সে পাকিস্তানে লুকিয়ে আছে। কিন্তু তার পরেও তাকে একদিনে খতম করা সম্ভব হয়নি। আমাদের কাছে যা তথ্য আছে তা বিশ্লেষণ করতে হবে। তার ভিত্তিতে তৈরি হবে পরিকল্পনা। আমরা দেখেছিলাম, ২০১২ সাল নাগাদ দক্ষিণ কাশ্মীরে জঙ্গি কার্যকলাপ হ্রাস পেয়েছে। কয়েক বছর বাদে কীভাবে জঙ্গিরা সেখানে সক্রিয় হয়ে উঠিল তা খতিয়ে দেখা দরকার’।
প্রসঙ্গত, পুলওয়ামায় জঙ্গী হামলার পরে বিভিন্ন মহল থেকে নিরাপত্তার গাফিলতির কথা টেনে মোদী সরকারকে তুলোধোনা করা হচ্ছে। এই সময়ে ভিকে সিংয়ের এমন মন্তব্যে বিজেপি আরও বেকায়দায় পড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।