শনিবার রাতে গুলি করে খুন করা হল তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসকে। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে। নিহত সত্যজিৎ নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক ছিলেন।
সরস্বতী পুজো উপলক্ষে স্থানীয় ফুলবাড়ির অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ নিজের নির্বাচনী এলাকার পুজো মণ্ডপের সামনেই কয়েক জন দুষ্কৃতী সত্যজিৎ বিশ্বাসকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।
নদিয়ার তৃণমূল জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, ‘আমি, সত্যজিৎ এবং স্থানীয় তৃণমূল নেত্রী রত্না ঘোষ ফুলবাড়ি এলাকার একটি সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানেই মঞ্চ থেকে নামার পর সত্যজিৎকে গুলি করা হয়।’ গোটা ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক চক্রান্ত আছে বলেই মনে করেন গৌরীশঙ্করবাবু। তাঁর অভিযোগ, ‘এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে।’ এখানেই না থেমে স্পষ্ট করে নাম ধরে গৌরীশঙ্কর বলেন, ‘যেই খুন করে থাকুক তার পিছনে মুকুল রায়ের আশীর্বাদ আছে।’ তবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
নদিয়ায় তৃণমূলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অনুব্রত মণ্ডলও বলেন, ‘বিজেপি চাইছে ২০১৯-এ ফিরে আসতে। সে কারণেই বিজেপি এ ভাবে ধিক্কারজনক রাজনীতি করছে। আমি একশোবার দাবি করছি, এটা বিজেপিই করেছে। বিজেপির পায়ের তলায় মাটি নেই, সে জন্যই তারা এ কাজ করেছে’। তবে প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করেই এই খুন করা হয়েছে।