সমাধিক্ষেত্রের ভিতরে সোনালি রঙের সমাধি, আর তাতেই শুয়ে রয়েছেন মিশরের বালক ফ্যারাও তুতেনখামেন। যার মৃত্যু ঘটেছিল আনুমানিক ৩০০০ বছর আগে৷ প্রায় ১০ বছর পরে দর্শকদের জন্য ফের খুলে দেওয়া হ’ল তুতেনখামেনের সমাধি৷
২০১০ সাল থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় এই সমাধিক্ষেত্র৷ ২০১১ সাল নাগাদ মিশরের প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের আমলে কাঠের ফ্লোর, বাতি, র্যাম্প, সমাধি সব বদল করা হয়েছিল। এর ফলে তুতেনখামেনের সমাধিটি সরানো হয় আগের জায়গা থেকে। তার পর থেকেই ফের দর্শকদের জন্য সমাধিক্ষেত্র খুলে দেওয়ার কাজ চলছে।
বিখ্যাত এই বালক ফ্যারাওয়ের মৃত্যু ঠিক কী ভাবে হয়েছিল তা আজও সঠিক ভাবে জানা যায়নি৷ তাঁর মৃত্যু নিয়ে উঠে আসে নানারকম মতামত৷ সম্পূর্ণ অধ্যায়টি এখনও রহস্যাবৃত৷ তুতেনখামেনের কবরে আঁকা ছবি থেকে দেখা গিয়েছে, তাঁর নেতৃত্বে যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার ছবি। যা দেখে অনেকের দাবি, সিরিয়ায় যুদ্ধে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। ১৯৬৮ সালে লিভারপুল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পরে ঘোষণা করেন, সম্ভবত মাথায় ভারী কিছুর আঘাতে মৃত্যু হয়েছিল তুতেনখামেনের। আবার অনেকে মনে করেন, যেহেতু তৎকালীন মিশরে ভাই-বোনেদের মধ্যে বিয়ের রেওয়াজ ছিল, তাই মা-বাবার মাধ্যমেই কোনও জীবাণু তার রক্তে মিশে যায় যার ফল হয় তাঁর মৃত্যু৷
রহস্য এবং তুতেনখামেন— যেন অবিচ্ছেদ্য দু’টো অধ্যায়৷ শোনা যায় যখন তাঁর সমাধি সরানো হচ্ছিল, সেই সময় কর্মীরা মন্ত্র পড়তে পড়তে এগোচ্ছিলেন কারণ সমাধিটি এতটুকুও বেঁকে গেলে নাকি অপঘাতে মৃত্যু ঘটবে ওই কর্মীদের৷ ১৯২২ সালে প্রথম যে প্রত্নতত্ত্ববিদের নেতৃত্বে যে কমিটির সহায়তায় এই সমাধি পাওয়া যায়, শোনা যায় তাঁদের সকলেরই মৃত্যু ঘটেছে রহস্যজনক ভাবে৷ রহস্য, লোকমুখে কথিত অভিশাপ ইত্যাদি সব নিয়ে সব নিয়ে দর্শকদের সামনে আসতে চলেছে বালক ফ্যারাও তুতেনখামেন৷