উঠল শাটডাউন। গোঁ ধরে বসে না থেকে অবশেষে মাথা নোয়ালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার সঙ্গে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন মার্কিনবাসীও। একপ্রকার নিরুপায় হয়েই সরকার চালানোর জন্য অর্থ বরাদ্দের বিলে সই করলেন ‘কোণঠাসা’ ট্রাম্প। এরপরই উঠে যায় মার্কিন ইতিহাসের দীর্ঘতম আর্থিক অচলাবস্থা।
কিন্তু এই সিদ্ধান্ত যে সাময়িকের জন্য তা রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পরিস্থিতির চালে মচকালেও, হাবভাবে ট্রাম্প বুঝিয়ে দেন, প্রাচীর তৈরির সিদ্ধান্তে এক চুল সরে আসেননি তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২২ ডিসেম্বর থেকে শাটডাউন হয়ে যায় মার্কিন কোষাগার। তার জেরে কার্যত থমকে যায় সরকারি কাজকর্ম। প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ ৪ সপ্তাহের বেশি ছুটিতে ছিলেন। বিনা বেতনেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন গোয়েন্দা, নিরাপত্তার মতো জরুরি বিভাগের কর্মীরা। ট্রাম্প প্রশাসনের উপর ক্ষোভ বাড়ছিল সরকারি আমলাদের।
মেক্সিকোয় প্রাচীর তৈরির সিদ্ধান্তে ট্রাম্প অনড় থাকায়, আর্থিক অচলাবস্থার কাটার কোনও লক্ষণই দেখা যায়নি। এমনকি তারপরও তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যদি তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প ‘মেক্সিকো প্রাচীর’ বাস্তবায়িত না হয়, তা হলে জরুরি অবস্থা জারি করা হবে। আপাতত সেই সিদ্ধান্ত থেকে দূরেই থাকলেন তিনি।
উল্লেখ্য, খোদ ট্রাম্পের আমলেই দু’দুবার শাটডাউনের মুখে পড়ল মার্কিনবাসী। তবে, এ বারের ৩৬ দিনের শাটডাউনের মেয়াদ নজির তৈরি করল মার্কিন ইতিহাসে। এর আগে ২১ দিনের দীর্ঘতম শাটডাউন দেখছিল প্রাক্তন ডেমোক্র্যাট মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের আমলে।
অন্যদিকে, বিলে সই করে কোষাগার খোলার অনুমতি দিলেও মার্কিন প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি, সাময়িক সরকার চালানোর জন্য এই বিলে সই করছি। আশা করি আগামী ২১ দিন ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানরা বোঝাপড়ার মধ্যে সরকার চালাবে। কিন্তু ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে যদি কোনও সিদ্ধান্তে না পৌঁছনো যায়, তা হলে ফের শাটডাউনের পথে হাঁটতে হবে। প্রয়োজন পড়লে দেশে জরুরি অবস্থাই জারি করা হবে।