ব্যারাকপুরের কাছে ৩ টি পুরসভা এলাকার প্রায় হাজার একর জমিতে গড়ে উঠতে চলেছে কলকাতার বিকল্প বিমানবন্দর। এর জন্য জমির খোঁজে রাজ্য সরকার যে কমিটি তৈরি করেছে, তার চেয়ারম্যান তথা খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘দিন পনেরো আগে ব্যারাকপুরে কাপাচাকলা এলাকায় ওই জায়গাটি কমিটি চিহ্নিত করেছে। জায়গাটি জগদ্দল, ভাটপাড়া ও নৈহাটি পুরসভার অধীনে। জমির মাপজোক শুরু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক অন্তরা আচার্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে’।
দেশের প্রায় প্রতিটি বড় শহরে বিকল্প বিমানবন্দর তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। দমদম বিমানবন্দর সম্প্রসারণের একটি পরিকল্পনা সম্প্রতি জমা পড়েছে দিল্লীতে। বলা হচ্ছে, ২০২৮ সালে ৫ কোটি যাত্রী ওই বিমানবন্দর ব্যবহার করবেন। তত দিন পর্যন্ত বিমানবন্দর সম্প্রসারণ করে কাজ চালিয়ে নেওয়া যাবে। কিন্তু, তার পরে বিকল্প বিমানবন্দর তৈরি ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না।
এই বিষয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান গুরুপ্রসাদ মহাপাত্র বলেন, ‘বিকল্প বিমানবন্দরের জন্য ১০০০ একর জমি হলেই চলবে। কারণ, আমাদের প্রয়োজন, আড়াই কিলোমিটার লম্বা এবং ১৮০ মিটার চওড়া একটি রানওয়ে। তবে যত বেশি জমি পাওয়া যাবে ততই ভাল।’ উল্লেখ্য দমদম বিমানবন্দর প্রায় ১৬৪১.৩৪ একর জমির উপর তৈরি।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের এক কর্তা জানিয়েছেন, নবি মুম্বইয়ে বিকল্প বিমানবন্দর তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে তা শেষ হওয়ার কথা। দিল্লির কাছে হরিয়ানায় জেওয়ারে জমি চিহ্নিত হয়েছে। জমি চিহ্নিত হয়েছে চেন্নাইয়ের বিকল্প বিমানবন্দরের জন্যও। বেঙ্গালুরুর বিমানবন্দর বাড়াতে আরও জমি অধিগ্রহণ করে সরকার তুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষের হাতে। হায়দরাবাদে হাকিমপেটে বিকল্প বিমানবন্দর তৈরি হচ্ছে। এমনকি, ভুবনেশ্বরের বিকল্প বিমানবন্দর তৈরির জন্য তিনটি জায়গা দেখিয়েছে নবীন পট্টনায়কের সরকার।