নেরোকা এবং রিয়েল কাশ্মীরের কাছে হার। মরশুমের মাঝপথে কোচ বদল। শঙ্করলাল চক্রবর্তীর জায়গায় এলেন প্রাক্তন ইস্টবেঙ্গল কোচ খালিদ জামিল। আর নতুন কোচের হাত ধরেই ভাগ্য খুলল মোহনবাগানের। খালিদ জামিলের হাত ধরে রাতারাতি ঘুরে দাড়াল মোহনবাগান। গতবারের চ্যাম্পিয়ন মিনার্ভা পাঞ্জাবকে ২–০ গোলে হারাল সবুজ–মেরুন ব্রিগেড। বাগানের হয়ে দু’জন গোলদাতা ওমর এল হুসেইনি এবং ডিপান্ডা ডিকা। কোচ বদলই কী তা হলে মোহনবাগানের ভাগ্য ফেরাল? নাকি অন্য কিছু। তবে বাইরে থেকে একটা প্রাপ্তি মোহনবাগান সমর্থকদের জন্য সেটা হল জয়। জিতেও অবশ্য লিগ টেবলের ছ’নম্বরেই রয়ে গেল মোহনবাগান। ১২ ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট ১৮। মিনার্ভা পঞ্জাবের পয়েন্ট ১৩।
এদিন ম্যাচের শুরুতেই ওমরের গোলে এগিয়ে যায় বাগান। ৩০ মিনিটে বক্সের মধ্যে ডিকাকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় খালিদ জামিলের দল। যা থেকে সবুজ–মেরুন জার্সিতে প্রথম গোলটি করলেন ওমর। এরপর প্রথমার্ধে আর কোনও গোল হয়নি। তবে দুর্দান্ত ফুটবল খেলতে থাকেন বাগান ফুটবলাররা। প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেও একই ছবি। দীর্ঘদিন ধরে ফর্ম হারানো ডিপান্ডা ডিকাও এদিন গোল পেয়েছেন। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে তিন ফুটবলার মধ্যে থেকে সোনির বাড়ানো ডিফেন্স চেরা পাস থেকে নিখুঁত দক্ষতায় জালে বল জড়ান তিনি। এই নিয়ে আইলিগের পঞ্চম গোলটি করে ফেললেন ডিকা। দায়িত্ব নেওয়ার পরই দলের রক্ষণের রোগ এদিন দূর করে দিলেন খালিদ। যে রক্ষণ নিয়ে আতঙ্কে ছিলেন সমর্থকরা, সেই রক্ষণই এদিন দুর্দান্ত ফুটবল খেলল একটিও গোল হজম না করে। দীর্ঘদিন ধরে বিশ্রী ফর্মে থাকা ডিকাও এদিন গোল পেয়েছেন। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে সোনির বাড়ানো ডিফেন্স চেরা পাস থেকে নিখুঁত ভঙ্গিমায় জালে বল জড়ান তিনি।