১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের আগে মাঠ ঘুরে দেখলেন তৃণমূলের নেতারা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক, পূর্ত, দমকল ও বিদ্যুৎ দপ্তরের অফিসারেরা। ব্রিগেডের মঞ্চে এবার উপস্থিত থাকছেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও নেতারা। তাই তাঁদের নিরাপত্তার দিকটি নিয়েও এদিন পুলিশ আধিকারিকেরা রাজ্য নেতাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন। ব্রিগেড ঘুরে দেখেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও।
জানা গেছে, ৭ জানুয়ারি খুঁটি পুজো করে মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হবে। মঞ্চের মুখ হবে উত্তরদিকে। পেছনে ভিক্টোরিয়া। জাতীয় নেতাদের বসার আলাদা জায়গা থাকবে। থাকবে সাংসদদের আসনও। কিছুদিন আগে দিল্লীতে গিয়ে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করে ব্রিগেডে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা। রাহুলকেও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। ব্রিগেডের সভা প্রসঙ্গে সুব্রত বক্সি বলেন, ‘ব্রিগেড এবার জাতীয় মঞ্চের রূপ নেবে। বিভিন্ন রাজ্যের বিশিষ্টরা উপস্থিত থাকবেন’।
রাজ্যের সব বিরোধী দলকেই ব্রিগেডে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির মৃত্যু ঘণ্টা বাজাতে চাইছেন। ইতিমধ্যেই বিজেপি বিরোধী জোট দানা বাঁধতে শুরু করেছে। তাই ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই জোটের ছবি তুলে ধরতে চান মমতা। তিনি ফেডারেল ফ্রন্ট তৈরিরও প্রস্তাব দিয়েছেন। অনেক নেতাই এই ব্যাপারে মমতার সঙ্গে সহমত হয়েছেন। নেতারা মনে করেন, বিজেপি ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন হচ্ছে। তাদের জনবিরোধী নীতির ফলে মানুষের মন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। নোটবন্দী, জিএসটি করে দেশের অর্থনীতিকে ভেঙে দিয়েছে। মমতা জানিয়েছেন, দেশে যা চলছে তা জরুরী অবস্থার চেয়েও ভয়ঙ্কর।