ক্লান্তির বিন্দুমাত্র ছাপ নেই তাঁর গলায়। চতুর্থ দফার নির্বাচনের প্রচার এখন শেষ লগ্নে। এরই মধ্যে জেলায় জেলায় পৌঁছে যাচ্ছেন মমতা। মানুষের দরবারে প্রচারের ঝড় তুলছেন তৃণমূল নেত্রী। আজ উত্তরবঙ্গে প্রচার শেষ করে কলকাতার উপকণ্ঠেও মানুষের দরবারে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। কোচবিহার জেলার শীতলকুচিতে প্রথম জনসভা সারলেন তিনি। এরপর বিকেলে যাদবপুর এবং টালিগঞ্জেও সভা করলেন মমতা।
ইভিএম কারচুপির আভাস দিয়ে এদিন ভোটারদের সতর্ক করেন মমতা। “ইভিএম মেশিন দুবার অন অফ করে নেবেন। ইভিএম মেশিন সিল না করা পর্যন্ত বেরোবেন না। পাহারা দেবেন। দুর্বল এজেন্ট দেবেন না। কন্যাশ্রীর মেয়েদের দেবেন, যুবসমাজকে দেবেন। যে রাজ্যের মানুষের ভোট পাহারা দেবে।” পাশাপাশি সিপিএমের একাংশকেও একহাত নেন তিনি। বলেন, সিপিএমের হার্মাদরাই এখন বিজেপিতে। তারাই এখন বিজেপিতে গেছে। এদের কোনও আদর্শ নেই।
গেরুয়াশিবিরকে কটাক্ষ করে মমতা জানান, “বলছে আমি নাকি দুর্গা পুজো, সরস্বতী পুজো করতে দিই না। আমি ক্লাবগুলোকে ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি। আমরা বলি হরে কৃষ্ণ হরে হরে, তৃণমূল ঘরে ঘরে। ওরা বলে হরে কৃষ্ণ হরি হরি, এসো চুরি করি, দাঙ্গা করি।” সাথে যোগ করেন, “ওরা সাংবাদিকদের ভয় দেখায়। আপনারা আমার পাশে থাকলে এদের আমি ভয় পাই না। বাংলাকে ভাগ করতে আমরা দেব না। আপনারা ভয় পাবেন না। গুজরাট থেকে এসেছে দুই ভাই জগাই-মাধাই। সাথে সিপিএমকে পেয়েছে।টাকা দিয়ে জনসভায় লোক আনছে। এই সংস্কৃতি বাংলায় ছিল না। ত্রিপুরায় শিক্ষকদের চাকরি খেয়ে নিয়েছে। আগামী ১০ তারিখ আপনাদের বাংলা মাকে রক্ষা করার ভোট। বাংলাকে বাঁচাতে গেলে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিতে হবে।”
জনগণের উদ্দেশে মমতার বার্তা, “বাড়িতে বাড়িতে রেশন পৌঁছে দেব, মা বোনেদের হাতে ৫০০- ১০০০ টাকা তুলে দেব। স্টুডেন্টদের ক্রেডিট কার্ডে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ কম সুদে দেব। বাংলা একদিন সারা পৃথিবীকে পথ দেখাবে। মা বোনেদের পা দিয়ে এই নির্বাচন আমি উতরে দেব। মা-বোনেদের দুই পায়ের ভরসাতেই আমি এক পা নিয়ে প্রচারে এসেছি। একটা করে ভোট দেবেন। একটা করে গোল মারবেন বিজেপিকে মাঠের বাইরে বের করে দেবেন।” পাশাপাশি দৃপ্ত কণ্ঠে জানান, “প্রাণ দেবো, কিন্তু বাংলার মান দেবো না।”