চিত্রকূট পাহাড়ে ওঠার রাস্তাকে বাঁ দিকে রেখে এগিয়ে এক ঘণ্টা যেতেই পৌঁছলাম ছবির মতো সাজানো আদিবাসী গ্রামে, ‘ডাঙাডি’। এটি কোনো আদিবাসী গ্রাম না ছবির দেশ, সে বিচারে গেলে ভাবনা ছাড়া আপনার মনে আর কিছুই আসবে না। তো সেদিকে না গিয়ে বরং বাকি কথা বলি।
ঘাটশিলা থেকে গাড়িতে বেশ কিছুক্ষণ লাগে। নিঃশব্দ প্রকৃতির মাঝে পাথরের ফাঁক গলে তিরতিরিয়ে চলছে খরস্রোতী। হ্যাঁ নদীটির নাম ‘খরস্রোতী’। নদীর পাড়ে গাছের ডালে বসে থাকা নাম না জানা পাখির ডাক। ভালো থাকার জন্য আর কিছুর দরকার পরে কি?
ডাঙাডি গ্রামের আদিবাসীদের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হতেই হবে। দু’চোখ মুগ্ধতায় আটকে যাবে মাটির দেওয়ালের আলপনায়।
ধলভূমগড়ের রাজবাড়ি ঘুরলেই দেখা যায় রাসমঞ্চে রাধাকৃষ্ণ মন্দির। শ্বেত পাথরের রাধাকৃষ্ণের মূর্তি। তাই এখানে কৃষ্ণের গাত্রবর্ণও সাদা। আটকোনা এই মন্দিরটি সপ্তদশরত্ন অর্থাৎ সতেরোটি চূড়াবিশিষ্ট। পরের মন্দিরটির চূড়া দক্ষিণ ভারতীয় শৈলীর।
মন্দিরদর্শনের পর রাজবাড়ি হয়ে ধলভূমগড়ের হাট ক্যানেল পাড়ে বসে প্রতি রবিবার। তবে আজ গরুর গাড়ির বদলে বংশীবদনরা এখন কলসি-হাঁড়ি নিয়ে আসে ম্যাটাডোরে চেপে। সবই মেলে এই হাটও ছবির মতোই।