রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই পর্যটনক্ষেত্রে বাংলাকে আরও উন্নীত করতে একাধিক পদক্ষেপ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর উদ্যোগেই পর্যটনকেন্দ্রগুলি সেজে উঠছে নতুন আঙ্গিকে। চলতি শীতের মরশুমেই পর্যটকদের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করল তৃণমূল পরিচালিত কোচবিহার জেলা পরিষদ। বুধবার রাজ্য সরকারের পঞ্চদশ পরিকল্পনায় রসিক বিল প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্রে পানীয় জলের প্রকল্পের শিলান্যাস হল বুধবার। জেলাপরিষদের সভাধিপতি সুমিতা বর্মন বলেন, ১৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে রসিকবিলের ভেতরে জমিতে শুরু হবে এই প্রকল্পের কাজ।
জানা গিয়েছে, পূর্বতন বাম আমলে এই রসিকবিল পর্যটন কেন্দ্রটি ছিল অবহেলার পাতায়। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে এই পর্যটন কেন্দ্রটিকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এরপরে পর্যটকদের ঢল নেমেছে রসিকবিল পর্যটন কেন্দ্রে। অসম বাংলা সীমানা সংলগ্ন তুফানগঞ্জের রসিকবিল প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্রে প্রতিবছর শীতে ভিড় জমে মূলত দূরদূরান্ত থেকে আসা পরিযায়ী পাখিদের টানে। এছাড়াও এই রসিকবিলের এনক্লোজারে চিতাবাঘ হরিণ অজগর রং বেরংয়ের বিদেশি পাখি তো আছেই। তবে পর্যটকদের জন্য স্থায়ী পানীয় জলের ব্যবস্থা ছিল না এতদিন। এবারে সেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে চলেছে কোচবিহার জেলা পরিষদ। এদিন রসিকবিল প্রকৃতি পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন সভাধিপতি ও কর্মাধ্যক্ষরা। তারা ঘুরে দেখেন চিতাবাঘ সহ নানা পশুপাখিদের এন ক্লোজার। ছিলেন কোচবিহার বন দফতরের আধিকারিকরাও। রসিকবিলের উন্নয়নের জন্য আর কি প্রয়োজন সেব্যাপারে বন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করেছেন সভাধিপতি। যাতে এই শীতে আরও বেশি পর্যটক আসেন রসিকবিলে, সেজন্যই পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে।