নরেন্দ্র মোদীর সাধের ‘আত্মনির্ভর’ ভারতে বারবার প্রকাশ্যে এসেছে জাতিবৈষম্যের ঘৃণ্য প্রতিচ্ছবি। ফুটে উঠেছে উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের আস্ফালন। বিভিন্ন সময় নির্যাতনের কবলে পড়েছেন সংখ্যালঘু ও দলিত শ্রেণীর প্রতিনিধিরা। প্রাণও দিতে হয়েছে অনেককে। এবার ফের সেই নারকীয় ঘটনার সাক্ষী রইল দেশ। চাষের জন্য জল নিয়েছিলেন বলে পিটিয়ে মারা হল ‘ডবল ইঞ্জিন’ মধ্যপ্রদেশের এক দলিত যুবককে! মূল অভিযুক্ত গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরাই। উল্লেখ্য, মধ্যপ্রদেশে এমন ঘটনা নতুন নয়। পানীয় জলকে কেন্দ্র করে বারবার অত্যাচারের শিকার হয়েছেন দলিতরা। শিবপুরির ইন্দরগড়ে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার তীব্র ধিক্কার জানিয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। “দলিত-বিরোধী বিজেপিকে ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই! ডবল ইঞ্জিন শাসিত মধ্যপ্রদেশ যেন জাতিগত বিদ্বেষের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছে”, সমাজমাধ্যম এমনই জানিয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত, নেটমাধ্যমে ভাইরাল এক ভিডিওতে স্পষ্ট ধরা পড়েছে দলিত শ্রেণির উপর নির্যাতনের এই ভয়াবহ ছবি। মামার বাড়ি ইন্দরগড়ে গিয়ে খেতের কাজ দেখাশোনা করছিলেন আঠাশ বছরের নারদ যটব। ভুল বশত তিনি বোরিংয়ের জল দিয়ে ক্ষেতে জল দিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই পঞ্চায়েত প্রধান পদম সিং ধাকড় কিছু লোকজন নিয়ে নারদের উপর চড়াও হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাঠি হাতে আসা সেই শাগরেদরা বেধড়ক মারতে থাকে নারদকে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যায়, মার খেয়ে নিজেকে রক্ষা করার ক্ষমতা চলে যাওয়ার পরেও লাঠির বাড়ি পড়তে থাকে নারদের উপর। পরে পরিবারের লোকেরা তাকে উদ্ধার করে শিবপুরী মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার সুভাষপুরা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এখনও গ্রেফতার করা হয়নি অভিযুক্ত সেই প্রধান এবং শাগরেদদের। তাহলে কি অপরাধীদের আড়াল করছে বিজেপিশাসিত মধ্যপ্রদেশের পুলিশ? উঠছে প্রশ্ন। নিন্দায় সরব হয়েছে একাধিক মহল।