রাজ্যজুড়ে মহিলাদের নিরাপত্তায় ইতিমধ্যেই ‘রাত্রির সাথী’ অ্যাপ চালু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এবার এই প্রকল্পে আলাদা করে রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের জন্য অর্থ বরাদ্দ করল নবান্ন। জেলায় সবচেয়ে বেশি টাকা পাচ্ছে এই হাসপাতাল। সেক্ষেত্রে দু’দফা মিলিয়ে বরাদ্দ টাকার পরিমাণ ২৩ লক্ষ টাকা। প্রসঙ্গত, জেলার ৬টি হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ ৭৫ লক্ষ টাকা থেকে এক একটি হাসপাতাল পাবে গড়ে সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা করে। সেখানে রানাঘাট হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ। রানাঘাট হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই টাকায় হবে নতুন বিশ্রামকক্ষ। সেখানে অবসর সময় কাটাতে পারবেন মহিলা চিকিৎসক, নার্সিং স্টাফ, মহিলাকর্মীরা। ‘রাত্রির সাথী’ প্রকল্পের মাধ্যমে সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলিতে নার্সিং স্টাফ, চিকিৎসকদের জন্য পৃথক বিশ্রামঘর, শৌচালয়, মহিলা নিরাপত্তা কর্মী, নজরদারি ক্যামেরা-সহ একাধিক বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
পাশাপাশি, রাজ্য জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে যে আর জি কর কাণ্ডের পর হাসপাতালে রাতের নিরাপত্তার উপর বিশেষ জোর দেয় রাজ্য। দফতরের পদস্থ কর্তাদের এক বৈঠকে রাত্রির সাথী প্রকল্পটি অনুমোদন করা হয়। কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করাই এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য। জেলার অনেক হাসপাতালেই এতদিন নার্সিং স্টাফ, মহিলা চিকিৎসকদের জন্য পৃথক বিশ্রামকক্ষ ছিল না। ফলে রাতে কর্তব্যরত অবস্থায় তাঁদের সমস্যায় পড়তে হত। রাত্রির সাথী সেই সমস্যা দূরীকরণে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেবে বলে স্বাস্থ্যকর্তারা মনে করছেন। এর আগে কল্যাণী গান্ধী মেমোরিয়াল হাসপাতাল, নাকাশিপাড়া, চাকদহ, নবদ্বীপ ও শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল এবং তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালের জন্য রাত্রির সাথী প্রকল্পে টাকা বরাদ্দ হয়। সেই তালিকায় নাম ছিল না রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের। “রাত্রির সাথী প্রকল্পটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হাসপাতালের নতুন ভবন ও পুরনো ভবনের মধ্যে যাতায়াতের জন্য একটি করিডর তৈরি হবে। ফলে রাতে হাসপাতাল কর্মীদের এক বিল্ডিং থেকে অন্য বিল্ডিংয়ে যাওয়ার জন্য বাইরে বেরোতে হবে না। একই সঙ্গে হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়নে একাধিক পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে”, জানিয়েছেন রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালের সুপার প্রহ্লাদ অধিকারী।