মঙ্গলবার ছিল ভারতীয় সংবিধানের ৭৫ বছর পূর্তি। এই বিশেষ দিনটিতে একটি প্রস্তাবের উপর আলোচনা চলল বিধানসভার অধিবেশনে। এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে সংবিধানকে আঘাতের অভিযোগ আনল রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। নবান্নে বি আর আম্বেদকরের ছবিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সামাজিক মাধ্যমে তিনি লেখেন, “আমরা আমাদের সংবিধান নিয়ে গর্বিত। আমাদের সংবিধানের মৌলিক বিষয়গুলি স্বাধীনতা, সাম্য, ন্যায়বিচার, ভ্রাতৃত্ব, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতাকে নিশ্চিত করে। আমরা এই মূল্যবোধগুলি মেনে চলি। সংবিধান গৃহীত হওয়ার পর ৭৫ বছর পূর্ণ। দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই।” এদিন বিধানসভার অধিবেশনে সংবিধানের উপর একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নেন সব দলের বিধায়ক। শুরুতেই প্রস্তাবকে ‘রাজনৈতিক লিফলেট’ বলে উল্লেখ করে আক্রমণে নামে বিজেপি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দ্বারা ‘থ্রেট কালচার’ চালানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয় প্রস্তাবে। এই বয়ান গ্রহণযোগ্য নয় বলে দাবি বিরোধী দলনেতার। পাল্টা জবাব দেন তৃণমূল বিধায়করা। সংবিধানে কী লেখা আছে এবং দেশ কীভাবে এগেচ্ছে, তা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া।
প্রসঙ্গত, অঙ্গরাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে নিয়ে দেশের ধর্মনিরপেক্ষতার ছবি সামনে আনে তৃণমূল পরিষদীয় দল। কিন্তু বিজেপি বিভেদের রাজনীতি করছে বলে সরব হন মানস ভুঁইয়া। তাঁর বক্তব্য, “ধর্মে ধর্মে বিভেদের রাজনীতি করলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। বিজেপির এটা বোঝা দরকার। যে কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। পারস্পরিক সমন্বয়ের ভিত্তিতে মুখ্যমন্ত্রীর বাংলা সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে রেখেছে।” একই সুর শোনা যায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের গলায়। তাঁর বক্তব্য, “আমরা সকলে ভারতীয়, এটাই আমাদের একমাত্র পরিচয়। সব ধর্মের মানুষ মাটিতে উৎপাদিত ফসল খেয়েই জীবন অতিবাহিত করেন। মৃত্যুর পর সকলেই মাটিতে বিলীন হয়ে যান”, সাফ জানান তিনি।