বৃষ্টি উপেক্ষা করে বর্ধমান শহরে ২১শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের রোড শোতে জনজোয়ার।
বর্ধমান শহরের টাউন হল থেকে রোড শো শুরু হয়ে শেষ হয় উত্তর ফটকে। মুষলধারে বৃষ্টি হলেও তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা চলে যাননি। কর্মসূচি শেষে কর্মী সমর্থকদের কৃতজ্ঞতা জানান তৃণমূলের বর্ধমান জেলার পর্যবেক্ষক ও মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, ‘২১ জুলাই আমাদের প্রত্যেকের তর্পণ করার দিন। ১৩জনের তাজা প্রাণের বিনিময়ে অত্যাচারী সিপিএম শাসকরা দূর হয়েছে বাংলা থেকে। বর্ধমান থেকে এবার দু লক্ষ মানুষ যাবেন কলকাতায়’।
বর্ধমান শহরে ৩৫টি ওয়ার্ড থেকে কর্মী সমর্থকরা এদিন রোড শোয়ে অংশ নেন। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে শাসক দলের লোকজন মিছিল করে টাউন হল প্রাঙ্গণে জড়ো হন। তারপর সেখান থেকে রোড শো শুরু হয়।
মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ছাড়াও আরেক মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু, বর্ধমান পূর্ব লোকসভার সদস্য সুনীল মণ্ডল, বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়, ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মণ্ডল, মেমারির বিধায়ক নার্গিস বেগম, বর্ধমান উত্তরের বিধায়ক নিশীথ মালিক, গলসির বিধায়ক অলোক মাঝি, বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিলের সদস্য খোকন দাসও মিছিলে অংশ নেন।
মিছিল শেষে সভায় প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন অরূপবাবু বলেন, ‘মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন। সেখানে ১০ হাজারের জমায়েত করতে ওড়িশা, বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকে লোকজন আনাতে হয়েছে। কৃষকদের জন্য তিনি নাকি বলতে এসেছিলেন। কেউ যদি কৃষকদের কথা ভেবে থাকেন তিনি আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।‘
তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে ভারতবর্ষের ভবিষ্যৎ তৃণমূল কংগ্রেস। সুদিন সামনে আসছে। সমস্ত বিরোধী নেতা নেত্রীরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে চাইছেন।