আরামবাগ মহকুমায় উন্নয়নকে অস্ত্র করেই ভোট পাবে তৃণমূল। তাই তৃণ্মূলের প্রচার করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পের পাশাপাশি গ্রামোন্নয়নের বিষয়টিও তুলে ধরছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, রাস্তাঘাট, পানীয় জল, হাসপাতাল, আলো সব কিছুই গত আট বছরে মহকুমার ছ’টি ব্লকে হয়েছে। তাই মানুষ তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে আরামবাগ, গোঘাট, খানাকুল ও পুরশুড়ায় কর্মতীর্থ গড়ে উঠেছে। আরামবাগে ও পুরশুড়ায় নির্মিত হয়েছে কিষাণ মান্ডি, কামারপুকুর ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নতুন ভবন নির্মাণ করে তাকে গ্রামীণ হাসপাতালে পরিণত হয়েছে। এছাড়া রাজ্য সরকারের সার্বিক প্রকল্পগুলিতে এলাকার মানুষ উপকৃত হওয়ায় শাসক তৃণমূল ভোট প্রচারে তা হাতিয়ার করেছে।
গোঘাটের তৃণমূল বিধায়ক বলেন, “সারা জেলার মধ্যে গোঘাটে সবচেয়ে বেশি বড় রাস্তা নির্মিত হয়েছে। অধিকাংশ রাস্তা জেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। আমরা ক্ষমতায় আসার পর গোঘাটে ১৩টি বড় রাস্তা নির্মিত হয়েছে। সেগুলি পূর্ত দফতর নির্মাণ করেছে। তাছাড়া প্রায় প্রত্যেকটি পঞ্চায়েত এলাকায় স্ট্রিট লাইট, হাইমাস্ট লাইট বসানো হয়েছে। তাই গোঘাটের মানুষের প্রধান চাহিদাগুলির সিংহভাগ পূরণ হয়েছে। আরও কিছু নতুন কাজ হবে। তাই গোঘাটের এই উন্নয়ন আমাদের ভোটে লিড বাড়াতে অনেক সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়”। আরামবাগের যুব তৃণমূল সভাপতি পলাশ রায় বলেন, “এই এলাকায় আগে তীব্র জলকষ্ট ছিল। দেড় বছর আগে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে আবেদন করে ডিহিবায়রায় গড়ে উঠেছে জল প্রকল্প। ভবিষ্যতে ওই প্রকল্প থেকে পানীয় জল মানুষের বাড়িতে বাড়িতে যাবে। তাই ভোট প্রচারে আমরা সেই জলপ্রকল্পের কথাও মানুষকে বলছি”।
তৃণমূলের আরও দাবি, আরামবাগে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় প্রভূত উন্নতি ঘটেছে। সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পাশাপাশি গড়ে উঠছে মেডিক্যাল কলেজ। আরামবাগে যানজট কাটাতে বিকল্প বাসস্ট্যান্ড গড়ে তোলা হচ্ছে। কামারপুকুরেও একটি উন্নত মানের বাস টার্মিনাস গড়ে উঠবে। তারজন্য পরিবহণ দফতরের তরফে টাকাও বরাদ্দ হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত পাঁচ বছরের মধ্যে আরামবাগের বাছানরি, ডিহিবায়রা, হায়াতপুর, গোঘাটের বালি, পাবা, গণেশবাটি, জগৎপুর, খানাকুলের রাধাবল্লভপুর প্রভৃতি এলাকায় পানীয় জলের প্রকল্প হয়েছে।