বছরের শেষ মুহূর্তের সাথেই নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে সম্পূর্ণ তৈরি দিঘা। আর এই সন্ধিক্ষণের উদযাপনের জন্যে জনজোয়ারে ভাসতে থাকা দিঘাকে সামলাতে প্রস্তুত পুলিশও। উৎসবের আনন্দে যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে তার সমস্ত বন্দোবস্ত করে ফেলেছে প্রশাসন। নিরাপত্তা বেড়েছে বড়দিনের তুলনায় আরও বেশি। এমনই জানিয়েছেন কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) ইন্দ্রজিৎ বসু।
বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণের যাবতীয় প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন দিঘা–সহ সংশ্লিষ্ট মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুর সৈকতে। বর্ষবিদায়, বর্ষবরণ উৎসবে রাত জাগবে গোটা সৈকত। সন্ধের পরই সৈকতে শুরু হয়ে যাবে আতশবাজি প্রদর্শনী। রাত যতই বাড়বে উৎসব উদ্দীপনার পারদও চড়বে ততই। হোটেলগুলিতে থাকছে অনুষ্ঠান এবং খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও। স্বাভাবিকভাবে বেপরোয়া হবে বছর শেষের রাত। তাই সীমান্তের উড়িষ্যা থেকে শুরু করে ৪ সৈকতে ইতিমধ্যেই টহল শুরু হয়েছে বাহিনী এবং পুলিশের। কাউকে কোনওভাবেই বেপরোয়া হতে দেখলেই গ্রেফতার হতে হবে বলে জানাচ্ছেন পুলিশকর্তারা। ভিড়ে ‘রোমিওদের’ গতিবিধিতে কড়া নজরদারি চালাবে সাদা পোশাকের মহিলা এবং পুরুষ পুলিশ। কোথাও কোনও ভাবে অসভ্যতা করলে রেহাই পাওয়ার সুযোগ থাকছে না তাদেরও।
বর্ষবরণ উদযাপনে বছরের শেষ রবিবারে পর্যটকদের ব্যাপক ভিড় দেখা গেল দিঘায়। পর্যটকদের জন্য হোটেলে হোটেলে চালু হয়েছে প্যাকেজ। হোটেলগুলিতে তিল ধারণের জায়গা নেই। নতুন সাজে দিঘা এখন পর্যটকদের আরও বেশি টানছে। দিঘায় ঢোকার মুখে ওল্ড দিঘায় পুরনো বিশ্ববাংলা পার্কের পাশেই নতুন বিশ্ববাংলা পার্ক পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। সেখানেও ভিড় বাড়ছে। তা ছাড়া, মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম, জুরাসিক পার্ক, অমরাবতী পার্ক, সায়েন্স সিটি, রোপওয়ে ও টয়ট্রেন দেখার জন্য ভিড়ও জমাবেন পর্যটকরা। তাই এসব জায়গায়ও থাকবে পুলিশ ও প্রশাসনের কড়া নজরদারি। উৎসবের আমেজে অপরাধ বা দুর্ঘটনা যাতে কোনও রকম ব্যাঘাত না ঘটাতে পারে তার জন্যে নিরাপত্তায় মুড়ে থাকা দিঘা এখন শুধু অপেক্ষা করছে উৎসব শুরু হওয়ার মুহূর্তের।