বিভিন্ন রাজ্য থেকে পুণ্যার্থী, সাধুরা আসতে শুরু করে দিয়েছেন সাগরে। কপিলমুনির আশ্রমও সাজানো হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরদারিতেই সব মিলিয়ে জোরকদমে চলছে সাগরমেলার প্রস্তুতি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জেলাশাসক রত্নাকর রাও ইতিমধ্যেই মেলা উপলক্ষে নানা ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।
জানা গেছে গোটা সাগরে নজরদারিতে থাকবে ১২টা ড্রোন। জিপিএস সিস্টেমের মাধ্যমে ভেসেলের গতিপ্রকৃতি জানা যাবে। নোংরা আবর্জনা পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে তুলে ফেলতে ৪০টি ব্যাটারি চালিত গাড়ির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এছাড়া থাকছে ৭০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা ও এলইডি টিভি। মেগা কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়ে গিয়েছে। ২২০ কিলোমিটার জুড়ে মেটালিক ব্যারিকেড করার কাজও শেষ। অস্থায়ী ঘরে লাগানো হচ্ছে অগ্নিনিরোধক রাসায়নিক।
এছাড়াও থাকছে ১২টি স্যাটেলাইট মোবাইল। যার দ্বারা সাগরমেলা এবং বাবুঘাটে পুণ্যার্থীদের ছবি সরাসরি নবান্নে বসেই দেখা যাবে। এবছর চিকিৎসকের পাশাপাশি ওয়াটার অ্যাম্বুল্যান্সের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন পোর্টেবল আলো প্রচুর পরিমাণে রাখা হয়েছে গোটা অঞ্চলে। মেলা পরিচালনায় থাকা অফিসারদের মধ্যে রয়েছেন শ্যামলকুমার মণ্ডল, মৃণাল রাণু, নিখিলেশ মণ্ডল, স্বাতী বন্দ্যোপাধ্যায়, সাগর চক্রবর্তী। এছাড়াও অতিরিক্ত জেলাশাসক ও মহকুমা শাসকরা মেলা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন।
অন্যদিকে, সাগরমেলার জন্য পরিবহন পরিকল্পনাও চূড়ান্ত। মেলার জন্য বিশেষ বাস চলাচল করবে আগামী ১১ই থেকে ১৭ই জানুয়ারি। মেলায় পরিবহন পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুদায়িত্ব পালন করবে ডব্লুবিটিসি এবং এসবিএসটিসি। মেলার দিনগুলিতে তাদের মোট ১৫৯৫টি বাস চলবে। বাসের ভাড়াও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ডব্লুবিটিসি সহ বিভিন্ন সংস্থার মোট ১০৬টি ভেসেল চালানো হবে মেলার জন্য। থাকবে এলসিটি বার্জও। এসব ছাড়াও মেলায় জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হবে হেলিকপ্টার।
পরিবহন দফতর সূত্রের খবর, মেলার দিনগুলিতে ডব্লুবিটিসি মোট ১০২০টি বাস চালাবে। আগামী ১১ই জানুয়ারি থেকে বিশেষ পরিষেবা দেওয়া শুরু করবে তারা। ওই দিন মোট ৩৫টি বাস থাকবে। মেলার বাকি দিনগুলিতে বাস দেওয়া হবে যথাক্রমে ৪১, ১২৫, ২৬০, ২৫৭, ২২১ এবং ৮১টি। এর পাশাপাশি এসবিএসটিসি বাস পরিষেবা দেবে ১২ই জানুয়ারি থেকে। গত বছরের তুলনায় এবারে মেলার জন্য ২০০টি বেশী বাস চালানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। বাস ছাড়বে হাওড়া, বাবুঘাট বা আউটরাম ঘাট, লট ৮ এবং নামখানা থেকে।