গত রবিবার আইসিসিআর ও সমাজকর্মী জয়তী চক্রবর্তীর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘জীবন খুঁজে পাবি’ শীর্ষক এক সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা।
অনুষ্ঠানের প্রথমার্ধে ছিল অজেয় চক্রবর্তীর সেতার, রবিগোধূলি ও বৈতালিক গোষ্ঠীর সমবেত গান, অঙ্কুরোদ্গম গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে কবিতা পাঠ।
অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে গান শোনান পল্লব ঘোষ ও অরুপ সিনহা। পল্লব মূলত মান্না দের গান গান। তবে যারা তাঁর গান শোনেননি তাঁদের জন্য বলছি- তিনি কিন্তু মান্নাকণ্ঠী নন। বরং তাঁর গায়কীর মধ্যে একটা দৃপ্ত ভঙ্গী রয়েছে। তিনি এদিন মান্না দে-র জনপ্রিয় পাঁচটা গান বেছে নেন। ‘প্রখর দারুণ অতি দীর্ঘ দগ্ধ দিন’, ‘ও চাঁদ সামলে রাখ জোছনাকে’, ‘আমি যে জলসাঘরে’, ‘খুব জানতে ইচ্ছে করে’, ‘যদি কাগজে লেখ নাম’। প্রতিটি গানই শ্রুতি মধুর ও উপভোগ্য ছিল।
প্রথম পর্বের শেষ শিল্পী ছিলেন অরূপ সিনহা। মোট দুটি গানের মধ্যে একটি ছিল মান্না দে-র গাওয়া ‘আনন্দ’ ছবির একটি জনপ্রিয় গান ‘জিন্দেগি ক্যায়সি হ্যায় পহেলি’। অনুষ্ঠানের ঘরোয়া আমেজে মন্দ লাগেনি।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হয় পণ্ডিত কৌশিক ভট্টাচার্যের পারফরম্যান্স দিয়ে। কৌশিক মূলত শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন। তবে এদিন তিনি গুরুদাস মাইতির লেখা ও নিজের সুরে তিনটি গান শোনান। প্রথমটি চারুকেশী রাগে ‘এখনি যেও না প্রিয় চলে’। দ্বিতীয়টি ছিল পিলু রাগে ‘বিদায় বলোনা সজনী’। শেষ গানটি ছিল ভৈরবী রাগে একটি ঠুমরী- ‘জাদুভরা আঁখি’। এই গানটি জনপ্রিয় ঠুমরি ‘রসকে ভরে তোরে নয়না’-র বাংলা। কৌশিকের গান সামগ্রিক অনুষ্ঠানে একটা বৈঠকি আমেজ এনে দেয়।
একদম শেষ পর্যায়ে ছিল শিল্পী শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গান। সরস্বতী বন্দনা দিয়ে শুরু হয় তাঁর অনুষ্ঠান। এরপর রবীন্দ্র সঙ্গীত ‘আমি তোমার সঙ্গে বেঁধেছি আমার প্রান’ গাওয়ার পর তিনি সরাসরি আধুনিক গানে চলে যান।
দেবাশিস বসুর সঞ্চালনায় আগাগোড়াই প্রানবন্ত ছিল অনুষ্ঠানটি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত নৃত্যশিল্পী অলকানন্দা রায়ের হাত দিয়ে স্পেশাল চাইল্ডদের হাতে কিছু অর্থ সাহায্যও তুলে দেন এদিন আয়োজকরা।