এবার মানুশখেকো বাঘিনীর নামে জারি হল মৃত্যু পরোয়ানা। ২০১৬ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের ইয়াবৎমল এলাকায় ১৩ জনের প্রাণ নেওয়ার অভিযোগ তার নামে । আঁধার নামলেই বাসিন্দাদের আতঙ্ক গ্রাস করছে এই বুঝি বাঘ এল।
বন দপ্তরের খাতায় এই নরখাদকেরনাম ‘টি- ১’। আপাতত হন্যে হয়ে তার খোঁজ চালাচ্ছে বনদপ্তরের কর্মীরা। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে খাঁচাবন্দী করতে না পারলে ওই বাঘিনীকে গুলি করে মারা হোক। কিন্তু আদালতের এই রায়ে অখুশি পশুপ্রেমীরা। সংরক্ষণপন্থী সরিতা সুব্রক্ষণ্যমের কথায়, ‘বাঘিনীকে ধরার কোনও চেষ্টাই করা হচ্ছে না। সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্টের রায় আসার আগেই শুটারের খোঁজ শুরু করেছে বন দপ্তর’। তাঁর প্রশ্ন, খাঁচা বন্দী করার উদ্দেশ্য হলে কেউ শুটার কেন খুঁজবে’? বন দপ্তর এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। অবশ্য আদালত দুপক্ষের বক্তব্য শুনেই রায় জানিয়েছিল। বিচারপতিদের মনে হয়েছিল, স্থানীয় মানুষদের নিরাপত্তার বিষয়টিই অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ভারতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বন্যপ্রাণী হত্যা নিষিদ্ধ। এই প্রথম সুপ্রিম কোর্ট কোনও বাঘকে মারার নির্দেশ দিল। পশুপ্রেমীদের দাবি, ওই বাঘিনীর ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা হোক, মৃত্যুগুলি তার হামলাতেই হয়েছে, না কি অন্য কারও দায় চাপানো হচ্ছে বাঘিনীর ঘাড়ে। তাই রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি নিয়ে ফের আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছে সংরক্ষণপন্থীরা।