মঙ্গলবার বিজেপি সভাপতি শাহর সভার পরই অশান্ত হয়ে উঠেছিল কাঁথি। সভা শেষে গাড়ি ভাঙচুর, তৃণমূল কার্য্যালয়ে আগুন লাগানো ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ১১ জন বিজেপি কর্মীকে। এর পাশাপাশি নবান্ন দিল্লীকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, কিছু বহিরাগত এসেই ঝামেলা পাকিয়েছিল।
কাঁথির ঘটনায় মঙ্গলবারই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ফোন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর বুধবার দিল্লী থেকে চিঠি পাঠিয়ে রিপাের্ট চাওয়া হয়। সেই চিঠিতে বলা হয়, ৫২টি বাস ভাঙচুর ও ৭২ জন জখম হয়েছেন ওদিনের ঘটনায়। কীভাবে এমন হল, তা জানতে চেয়েছে দিল্লী। এর উত্তরে মুখ্য সচিব দিল্লীকে জানিয়ে দিয়েছেন, ঘটনায় আহতদের দায়িত্ব নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে সরকার। বহিরাগতরা এসেই ওদিন ঝামেলা পাকিয়েছিল কাঁথিতে। তবে এ বিষয়ে সরকারিভাবে কিছু জানায়নি নবান্ন।
মঙ্গলবার দুপুরের ঘটনার পর রাতভর কাঁথি ও মারিশদা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হলেন কাঁথি থানার পদ্মপুখুরিয়ার সুশীল দাস, ময়না থানার কেশরচকের চন্দন দাস, হাওড়াজেলা শ্যামপুরের হাবুল মাঝি, সমীর হালদার, সুব্রত চক্রবর্তী, মাধব মাঝি, চন্ডীপুর থানার পূর্ব বিরামপুর ঘোপালমান্না, চকপারুলিয়ার রঞ্জিত হাতি, রাজু সামন্ত, সুতাহাটা থানার সামন্ত গ্রামের অর্ধেন্দু দাস ও দুর্গাচক থানার সাত্যকি মান্না। ভিন রাজ্য থেকে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের ধরা যায়নি। বুধবার ধৃতদের কাঁথি আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের জামিন নাকচ করে ৩দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
মঙ্গলবার অমিত শাহের সভা শেষে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কাঁথি। দিঘা-নন্দকুমার ১১৬ বি জাতীয় সড়কে একাধিক বাস ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় জড়ায় বিজেপি কর্মীদের নাম। শুধু তাই নয়, একাধিক বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কাঁথির আউরাই গ্রামের উপপ্রধান, ভগবানপুর ২ ব্লকেরজেলা পরিষদ সদস্য মানব বড়ুয়া-সহ একাধিক তৃণমূল কর্মীকে বিজেপি নেতা-কর্মীরা মারধর করে বলে অভিযোগ। পুড়িয়ে দেওয়া হয় তৃণমূলের পার্টি অফিসও। বিজেপির এমন তান্ডবের প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে কাঁথি-মেচেদা বাইপাস অর্থাৎ পুড়ে যাওয়া পাটিঅফিসের সামনে থেকে ধিক্কার মিছিল করে তৃণমূল। যার নেতৃত্ব দেন পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য নেতারা।