সভার পাল্টা সভা। বিজেপি যেখানে সভা করবে সেখানেই পাল্টা সভা করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং আগামী ২ ফেব্রুয়ারি শালবনিতে স্মৃতি ইরানির করে যাওয়া সভা মাঠেই পাল্টা তৃণমূলের সভার আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি কাথিতে অমিত শাহ যেখানে সভা করেছিলেন আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি সেখানেই পাল্টা সভা করতে চলেছে তৃণমূল।
ঝাড়্গ্রাম এবং কাথির সভায় উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ও তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল নেতারা জানিয়েছেন, ঝাড়্গ্রামে স্মৃতি ইরানির সভায় স্থানীয় মানুষজন তেমন ছিলেন না। পাশের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এমনকী ঝাড়খণ্ড থেকে লোক এনে মাঠ ভরানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু মাঠ ভরেনি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূলের এই পাল্টা সভায় মাঠ ভরাবেন শুধু ঝাড়্গ্রামের মানুষ। বিজেপির মতো পাশের জেলা কিংবা ঝাড়খণ্ড থেকে লোক আসবে না। ওই সভাতেই প্রমান হয়ে যাবে ঝাড়্গ্রামের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন’।
কাথিতে তৃণমূলের সভার চিত্রটাও একই। শুধুমাত্র উত্তর ও দক্ষিণ কাথি থেকে লোক নিয়েই বিজেপির সভা থেকে ৫ গুণ বেশি লোক হবে বলে চ্যালেঞ্জ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। ইতিমধ্যেই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সভার পর বিজেপি–র তাণ্ডবের প্রতিবাদে মিছিল বের করেছিল তৃণমূল। তৃণমূলের ডাকে হাজার হাজার মানুষ সংগঠিত হয়েছিলেন। বিজেপি–র তাণ্ডবের বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, কঁাথিকে অশান্ত করতেই আগে থেকে চক্রান্ত করেছিল বিজেপি। সেই কারণে বাসে করে রড ও লাঠি আনা হয়েছিল। প্রচুর বাস, প্রাইভেট গাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি বহু তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয়েছে ঘটনার দিন। ৩ ফেব্রুয়ারি তৃণমূলের সভায় বিজেপির এই তাণ্ডবের নিন্দাও জানানো হবে।
তৃণমূল সূত্রে খবর, ঝাড়্গ্রাম এবং কাথিতে তৃণমূলের কোর কমিটি বৈঠকে বসেছে। জনসভার রূপরেখাও তৈরি হয়েছে। এখন সভা শুরু হওয়ার অপেক্ষা। দুটি সভাতেই উপচে পড়া ভিড় দেখা যাবে বলে দাবি তৃণমূল নেতাদের।