২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে দলে তাঁর অন্তর্ভুক্তির কথা ঘোষণা করেছিলেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী৷ সেই বছরই লোকসভা নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন মায়াবতীর প্রচারের ওপরে ৪৮ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর প্রথম বার রাজনৈতিক সভায় বক্তব্য রাখেন তিনি৷ সম্প্রতি নিজের ভাইপো সেই আকাশ আনন্দকে দলের সর্বভারতীয় আহ্বায়ক পদেও বসিয়েছিলেন বিএসপি নেত্রী৷ তবে আচমকাই এবার তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে দিলেন তিনি৷ লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেই মায়াবতীর এই সিদ্ধান্তে উত্তর প্রদেশের রাজনীতিতে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে৷ মায়াবতী অবশ্য দাবি করেছেন, রাজনীতিতে পরিণত হলেই ভাইপোকে দলীয় পদে ফিরিয়ে আনবেন তিনি৷
নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে পোস্ট করে মায়াবতী এই সিদ্ধান্তের কথা জানান৷ তিনি লেখেন, ‘আকাশ আনন্দকে আমি বিএসএপি সর্বভারতীয় আহ্বায়ক পদে বসিয়েছিলাম এবং আমার উত্তরাধিকারী হিসেবে ঘোষণা করেছিলাম৷ কিন্ত দলের বৃহত্তর স্বার্থে এবং আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি এই দুই দায়িত্ব থেকেই তাকে অব্যাহতি দিলাম, যতক্ষণ না সে পরিণত হচ্ছে৷’ একই সঙ্গে মায়াবতী যোগ করেন, ‘সবাই জানে যে বিএসপি আন্দোলনের মাধ্যমেই বি আর আম্বেদকরকে সম্মান জানিয়ে এসেছে এবং সামাজিক সংস্কারের জন্য আমি এবং কাঁসি রামজি সেই লক্ষ্যেই নিজেদের জীবন সমর্পণ করেছি৷ নতুন প্রজন্মকেও সেই আন্দোলনে গতি আনতে হবে৷’