সকাল ৮ টা থেকে পাঁচ রাজ্যে ভোটগণনা শুরু হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফলাফলের ট্রেণ্ডে ধরাশায়ী গেরুয়া শিবির। ছত্তিশগড়, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে এই তিন রাজ্যেই বিজেপিকে কয়েকযোজন পিছনে ফেলে দিয়েছে কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ৩ রাজ্যেই হয়তো সরকার গড়তে পারে কংগ্রেস। সভাপতি হিসাবে দলের দায়িত্ব পাওয়ার পর এটাই রাহুল গান্ধীর সবচেয়ে বড় সাফল্য। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি মোদী ঝড় থেমে গেল?
প্রথমেই রাজস্থানের ফলাফলের দিকে নজর দেওয়া যাক। বিজেপির বসুন্ধরা রাজের রাজ যে আর সাধারন মানুষ চাইছিল না সেটা ভোটের সময়েই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বুথ ফেরত সমীক্ষা থেকে জনমত, সব কটিতেই দেখা গিয়েছিল বিজেপির পতন হচ্ছেই। মঙ্গলবার ভোট গণনা যত এগোল স্পষ্ট হয়ে গেল, মরুরাজ্যে বিজেপি-র মুখ বসুন্ধরা রাজে হারাচ্ছেনই৷ দু’ঘণ্টার মধ্যেই রাজস্থানে ম্যাজিক ফিগার প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে কংগ্রেস৷ ১৯৯ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় ১০১টিতে এগিয়ে রাহুল গান্ধীর দল৷ ফলে রাজস্থানে সরকার গড়া নিয়ে আর চিন্তা নেই কংগ্রেসের৷ রাজস্থানে কংগ্রেসের দুই মুখ, সচিন পাইলট ও অশোক গেহলটের বাড়িতে শুরু হয়ে গিয়েছে অকাল হোলি।
ছত্তিসগড়েও অনেকটাই এগিয়ে আছে কংগ্রেস। প্রথম থেকে সেই ট্রেন্ড সামনে আসে৷ বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে অনেকটাই এগিয়ে কংগ্রেস৷ ৫টির মধ্যে ৪টি প্রদেশেই বিজেপিকে জোর টক্কর দিয়েছে তারা। কংগ্রেস এগিয়ে ৬৬টি আসনে, বিজেপি এগিয়ে ১৫টি আসনে। ফলে রমন সিং ম্যাজিক আর কাজ করল না ছত্তিসগড়ে৷ দীর্ঘ বিজেপি জমানার অবসান হচ্ছে এই রাজ্যে, জনমত তেমনই উঠে এল৷
মধ্যপ্রদেশে দুর্নীতি থেকে শুরু করে তফসিলি ইস্যু, সবেতেই নিজেদের পায়ের তলার মাটি হারাচ্ছে বিজেপি। ১৫ বছরের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ছিল তুমুল প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া৷ তাকেই কাজে লাগালো কংগ্রেস৷ মধ্যপ্রদেশে বিজেপি এগিয়ে ১১১টি আসনে, কংগ্রেস এগিয়ে ১০৮টি আসনে, অন্যান্য এগিয়ে ১১টি আসনে।
তেলেঙ্গানায় প্রথম থেকেই টিআরএসকে এগিয়ে রেখেছিল বুথ ফেরত সমীক্ষা৷ একছত্র তাদেরই দাপট তেলেঙ্গানায়। কেসি রাওয়ের ওপরই ভরসা রাখল সেখানকার মানুষ৷ গজোয়েল কেন্দ্রে ৫০০০০ ভোটে জিতেছেন কে চন্দ্রশেখর রাও। তাই তিনিই ফিরছেন সরকারে৷
তবে উত্তর-পূর্বের একমাত্র রাজ্য মিজোরামে টিকে ছিল কংগ্রেস৷ সেখানে তাদের সরকার আর থাকছে না৷ মিজোরামে এবার চাকা ঘোরার ইঙ্গিত ৷ টানা ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর এবার অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে এমএনএফ৷ এখনও পর্যনন্ত তারা এগিয়ে রয়েছে ২৪টি আসনে ৷ কংগ্রেস ৮টা ৷ বিজেপি একটি মাত্র আসনে এগিয়ে রয়েছে। এই ফলাফল সামনে আসতেই
এই ফলাফল সামনে আসতেই অকাল হোলি শুরু হয়েছে কংগ্রেস দফতরে। অন্যদিকে বিজেপির দফতর শুনশান। ৫ রাজ্যের এই বিধানসভা ভোটের ফলাফলের দিকেই তাকিয়ে আছে রাজনৈতিক মহল। তাঁদের মতে, বিজেপির হার এখন সময়ের অপেক্ষা