উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে যতবারই মুখ খুলেছেন তিনি, ততোবারই বিভিন্ন মহল থেকে তাঁর নামে একাধিক কটুকথা বলা হয়েছে। তাঁকে কটাক্ষ করা হয়েছে। এবার তা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে সমালোচকদের যোগ্য জবাব দিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট।
সােমবার সাঁইথিয়া ব্লক তৃণমূলের ডাকে ব্রিগেড সমাবেশের সমর্থনে এক জনসভায় তিনি বলেন, ‘৩৪ বছরে বামফ্রন্ট উন্নয়ন করেনি। ৭০ বছরে কংগ্রেস উন্নয়ন করেনি। ৭ বছরে মা-মাটি-মানুষের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের জোয়ার বইয়ে দিয়েছেন। এই উন্নয়ন নিয়ে কথা বলায় লোকে নাকি আমাকে কটাক্ষ করে। কেন করে জানি না।’
উন্নয়ন প্রসঙ্গে ফের বলতে গিয়ে অনুব্রত কবি শঙ্খ ঘােষের নাম না করে বলেন, ‘উন্নয়ন নিয়ে কোনও কোনও কবিও আমাকে কটাক্ষ করেছেন। বলেছেন, খড়্গহাতে দাঁড়িয়ে আছে উন্নয়ন।’ এরপরই জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ‘আপনারা রাস্তায় যখন হাঁটেন, তখন উন্নয়ন দেখতে পান না? আপনারাই বলুন উন্নয়ন নিয়ে আমি কোনও অন্যায় কথা বলেছি?’
এরপরই স্বমেজাজে দলের পঞ্চায়েত প্রধান, সদস্য ও স্থানীয় নেতাদের অনুব্রতর হুঁশিয়ারি, ‘বাংলার আবাস যােজনায় বাড়ি করে দেওয়ার নাম করে কেউ যদি গরিব মানুষের কাছে টাকা চায়, তা হলে তাকে জেলে পাঠানাে হবে। মানুষই পঞ্চায়েত প্রধান করেছেন, তাঁদের ভালাে পরিষেবা দিতে হবে। সাধারণ মানুষকে মেজাজ দেখানাে চলবে না। মানুষের কাছে গিয়ে তাঁদের কথা শুনতে হবে। এলাকার মানুষ কোনও কাজের দাবি নিয়ে এলে তাঁদের সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে হবে। বসিয়ে চা খাওয়াতে হবে।’
গতকাল বামফ্রন্টের সম্প্রীতির মহামিছিলে রামপুরহাটে সাংবাদিকদের বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু অনুব্রতর ‘পাচন দাওয়াই’ ও ‘মাথায় অক্সিজেন কম’ নিয়ে কটাক্ষ করেন। এর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সংবাদিকদের কাছে অনুব্রত বলেন, ‘বিমানবাবুর অনেক বয়স হয়েছে। মাথা ঠিক নেই। তাই ভুল বকছেন।’ তবে গতকাল অনেকটা শান্তই দেখিয়েছে কেষ্টকে। দলের আসন্ন ব্রিগেড সমাবেশ নিয়ে, জেলার কর্মীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।