মেয়রের কুর্সিতে বসা এখন সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু তার আগে শুক্রবার সকাল থেকেই ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে উপচে পড়ল মানুষের ভিড়। গতকাল ভাবী মেয়রের সঙ্গে দেখা করতে এবং তাঁকে অভিনন্দন জানাতে ফুল, মিষ্টি নিয়ে হাজির হলেন বহু মানুষ। শপথ গ্রহণের আগেই একেবারে মহানাগরিকের মেজাজে ফিরহাদ হাকিম।
বৃহস্পতিবারই উত্তীর্ণতে সর্বসম্মত ভাবে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নাম মেয়র হিসেবে গৃহীত হয়েছে৷ আগামী ৩ ডিসেম্বর মেয়র হিসেবে শপথ নেবেন তিনি৷ কিন্তু তার আগেই শুক্রবার সকাল সকাল ভাবী মেয়রকে শুভেচ্ছা জানাতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছন শোভন-জায়া রত্না৷ ফিরহাদ হাকিমকে কলকাতার মেয়র হিসেবে পেয়ে তিনি খুশি বলে জানান রত্না৷ গতকাল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াও ফিরহাদের বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসেন।
দুপুরের পর শহিদ মিনারে গুরুনানকের জন্মদিন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে যান ফিরহাদ। ছিলেন পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ও। সেখানে ফিরহাদ বলেন, মানুষের বিশ্বাস রাখাটাই বড় চ্যালেঞ্জ। আমার প্রথম কাজ হবে, রাস্তাঘাটের সংস্কার করা। আগের মেয়র অনেক কাজই করেছেন। এবার তাঁর অসম্পূর্ণ কাজগুলি সম্পূর্ণ করতে হবে। ডেঙ্গুর প্রকোপ কমলেও, ডেঙ্গু নিয়ে আরও সচেতনতা বাড়াতে হবে। কয়েকটি খাল আছে, যেগুলোরও সংস্কারের প্রয়োজন। কিছু কিছু এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা আছে। সেই সমস্যারও সমাধান করতে হবে।’
কেন্দ্রের মোদী সরকারকে আক্রমণ করে ফিরহাদ বলেন, ‘বহু প্রকল্পের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। ওদের কাছ থেকে অর্থের দাবি করা বোকামি। আমি মনে করি, আগামী দিনে নতুন সরকার তৈরি হবে। আমার আশা, তখন তাদের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়ে আমরা বড় বড় প্রকল্পগুলির কাজও শুরু করতে পারব। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই আর্থিক সঙ্কটের মধ্যেও নানাভাবে উন্নয়ন করে চলেছেন। পুরসভার ব্যাপারে তিনি যথেষ্ট ওয়াকিবহাল।’ নতুন মেয়রের অঙ্গীকার ‘শহরকে আরও সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন করে তুলব৷’