এবার রাজ্য সরকার বাজারে আনছে প্যাকেটজাত গরুর দুধ ‘সুন্দরিনী’। মাদার ডেয়ারির পর ‘সুন্দরিনী’ হতে চলেছে দ্বিতীয় সরকারি দুগ্ধ প্রকল্প। এই প্রকল্পে দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেই তৈরি হবে প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র। এজন্য জয়নগর এবং মথুরাপুরে জমি দেখাও হয়েছে। চার একর জমিতে এই প্রকল্প গড়ে তুলতে খরচ হবে প্রায় ৩০ কোটি টাকা। আপাতত প্রতিদিন ২০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হলেও পরবর্তীকালে ৫০ হাজার লিটার দুধ উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ক্রেতার হাতে পৌঁছাবে দুধের প্যাকেট ।
মাদার ডেয়ারি প্রকল্পের মাধ্যমে উৎপাদিত দুধে রাজ্যের অধিকাংশ চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে। বাকিটা মেটায় কয়েকটি বেসরকারি সংস্থা। তবে চাহিদা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজার ধরতে বিশেষ উদ্যোগ নিতে চলেছে রাজ্য সরকার।
ইতিমধ্যেই সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মহিলাদের নিয়ে তৈরি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, মধু ও মুগডাল ইত্যাদির প্যাকেজিং ও বিক্রির ব্যবস্থা করে ইতিমধ্যে সাফল্য পেয়েছে রাজ্য সরকার। তিন হাজারের বেশী মহিলাকে নিয়ে তৈরি এই দুগ্ধ সমবায় মানের নিরিখে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাতকে পিছনে ফেলে দেশের মধ্যে সেরা তকমা পেয়েছে। সেই সাফল্যকে পুঁজি করে এবার সুন্দরিনী ব্র্যান্ডের প্যাকেটজাত দুধ বাজারে আনছে রাজ্য। বাজার চলতি প্যাকেটজাত দুধের তুলনায় এর দামও কিছুটা কম রাখা হবে বলে জানা গেছে। দুধের দাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তবে খুব বেশি দাম কোনওভাবেই হবে না। দাম থাকবে সাধ্যের মধ্যেই।
বিশ্ব দুগ্ধ দিবস উপলক্ষ্যে গত পয়লা জুন গুজরাটের আনন্দে সুন্দরবন দুগ্ধ সমবায়ের মহিলাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতরাজ ও কৃষিমন্ত্রী পুরুষোত্তম রূপালা। ওই একই দিনে দিল্লীতে সর্বভারতীয় বণিক সংগঠন ফিকি-র পক্ষ থেকে তাঁদের নগদ ২৫ লক্ষ টাকা আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়।