ভারতবর্ষে হিন্দু ছাড়া সমস্ত ধর্মের মানুষেরাই উদ্বাস্তু। এমন মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘হিন্দু ছাড়া জৈন, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানরাও এদেশে উদ্বাস্তু। কারণ, এরা সবাই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভারতে এসেছে’। নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে এই বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন রাজ্যসভার এই অভিনেত্রী সাংসদ।
এখানেই না থেমে রূপা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ মুসলমানদের জায়গা। আর ভারতবর্ষের পশ্চিমবঙ্গ হিন্দুদের দেশ। কারণ, দেশভাগের পর মুসলমানদের দেশ হিসাবে তৈরি হয়েছিল পাকিস্তান। তাই বাংলাদেশ মুসলমানদের। আর ভারতের অংশে থাকা পশ্চিমবঙ্গ হিন্দুদের। সেইসময় বহু হিন্দু বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে এসেছিল’। রাজ্যসভার সাংসদ আরও বলেন, এদেশে জন্মানো ব্যক্তিদের এনআরসি নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
সম্প্রতি বিজেপির জাতীয় সহ সভাপতি ওম মাথুর এনআরসি এবং নাগরিক আইন প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘দেশটা কোনও ধর্মশালা নয়। ২০১৯ লোকসভা ভোটের পর বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করতে গোটা দেশে এনআরসি চালু করা হবে’।
রূপার বক্তব্যের আসল প্রেক্ষিত অসমের জাতীয় নাগরিক পঞ্জীকরণ ইস্যু। তাতে ৪০ লক্ষ নাগরিকের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বাদ পড়া নাগরিকদের বেশিরভাগই বাঙালি বলে বিরোধীদের অভিযোগ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে জানিয়েছেন, এর মধ্যে ২৫ লক্ষ বাঙালি হিন্দু ও ১৩ লক্ষ বাঙালি মুসলমানের নাম বাদ গিয়েছে। বাকি ২ লক্ষের মধ্যে রয়েছে বিহারি, নেপালি-সহ অন্যান্যরা।