প্রতিবেদন : সন্ত্রাসবাদের নেপথ্যে পাকিস্তানের ভূমিকা এবং ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কথা সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে ভারত থেকে ৭টি বহুদলীয় প্রতিনিধি দল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। এ সম্বন্ধে বিদেশের প্রতিক্রিয়া পর্যালোচনা করতে মঙ্গলবার রাতে সাতটি বহুদলীয় প্রতিনিধি দলের সদস্যদের নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেই নৈশভোজ পর্বকে কার্যত গুরুত্বহীন বলেই মনে করছে তৃণমূল। তৃণমূলের তরফে ওই নৈশভোজে যোগ দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।(Abhishek Banerjee) জানা গিয়েছে, নৈশভোজের পর খানিকটা বিরক্ত তিনি। তা নিয়ে আলোচনা করেছেন নিজের ঘনিষ্ঠমহলেও।
Read More: দেড় দশকের উন্নয়নের খতিয়ান, বই আকারে আসছে মুখ্যমন্ত্রীর বিধানসভার সমস্ত বক্তৃতা
এবিষয়ে দলের একটি সূত্রের বক্তব্য, নৈশভোজে ভোজ এবং মশকরা ছাড়া গঠনমূলক কোনও আলোচনাই হয়নি। তৃণমূলের তরফে দাবি, পহেলগাঁওয়ের চার জন জঙ্গি কোথায়, তাদের ধরতে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, সংসদের বিশেষ অধিবেশন হবে কি না, এই সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলি নিয়ে কোনও কথা হয়নি। সূত্রের দাবি, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র তাঁর পছন্দের কয়েকটি টেবিলে গিয়েই কথা বলেছেন। সেখানেও কেবল হাসিঠাট্টাই করেছেন। তৃণমূলের তরফে উপস্থিত থাকা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Abhishek Banerjee) সঙ্গে তাঁর কথা হয়নি। এদিনের বৈঠকে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা ও তৎপরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে কোনও আলোচনা না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই অসন্তুষ্ট তৃণমূল।
এদিন প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের নৈশভোজে শশী থারুর, সলমন খুরশিদ, আনন্দ শর্মা, মণীশ তিওয়ারিদের মতো কংগ্রেস সাংসদদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিএমকের সাংসদ কানিমোঝি, শিব সেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর মতো বিরোধী শিবিরের প্রধান মুখেরাও। এতজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি সত্ত্বেও কেন কোনও গঠনমূলক আলোচনা হল না? কেন কেবল হাসিঠাট্টাতেই মেতে রইলেন প্রধানমন্ত্রী? ক্ষুব্ধ অভিষেক তথা তৃণমূল নেতৃত্ব। প্রশ্ন উঠছে অন্যান্য মহলেও।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1932794101222838311




