২০১৯-এর ৩১ আগস্টের কথা আজও ভুলতে পারেননি বউবাজারের বাসিন্দা থেকে কলকাতা মেট্রোরেল কর্পোরেশন লিমিটেডের কর্মীরা। ওই দিনই বউবাজারের ভূগর্ভে টানেল বোয়িং মেশিন সুড়ঙ্গ কাটার সময় মাটির ২২ মিটার গভীরে জমে থাকা জলস্তর ভেঙে পড়ে। বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মাটি বসে গিয়ে দুর্গা পিথুরি লেন ও স্যাকরাপাড়া লেনের ৭৪টি বাড়ি হয় ধসে পড়ে অথবা বড় রকম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আড়াই বছর পর এবার ফের মেট্রোর কাজ চলাকালীন বউবাজার এলাকার একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছে। এই পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি ভেঙে ফেলার চিন্তাভাবনা করছে কলকাতা পুরসভা।
বৃহস্পতিবার ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি পরিদর্শনের পর পুরসভার বিল্ডিং দফতর মেয়র ফিরহাদ হাকিমের কাছে রিপোর্ট জমা পড়েছে। রিপোর্টে ক্ষতিগ্রস্ত ১৪টি বাড়ি ভেঙে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। তবে তার আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে দিয়ে বাড়ি ও মাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবে পুরসভা। তারপরই বাড়িগুলির ভবিষ্যৎ নিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কলকাতা পুরসভা। এই রিপোর্ট মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেও জমা পড়েছ বলে খবর। এদিকে, বিপর্যয়ের পর মেট্রোর কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। কেএমআরসিএল সূত্রে খবর, সুড়ঙ্গের ১১টি জায়গা থেকে জল বেরচ্ছিল, তা বন্ধ করা গিয়েছে।
স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে বলেন, মেট্রোর কাজে এখানে অধিকাংশ বাড়ির অবস্থা খারাপ। তার উপর বারবার একই ঘটনা ঘটছে। মেট্রো চালু হলে ফের বাড়িগুলির ক্ষতি হতে পারে। তাই একটা উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা দরকার। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এখানে বাড়িগুলি পুরনো। ইটের ভিত দিয়ে তৈরি। পাইলিং নেই। মাটি সরে গেলে এই বাড়িগুলি বসে যায়। এইসব বাড়ি আদৌ রাখা সম্ভব কি না, তা ঠিক করতে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে।’ জানা গিয়েছে, আজ, শুক্রবার কেএমআরসিএলকে নিয়ে পুরভবনে বৈঠকে বসবেন ফিরহাদ।