নির্বাচনী আবহেই ফের উত্তপ্ত বাংলার রাজনৈতিক পরিসর। প্রসঙ্গতর হাসনাবাদে বিজেপি নেতার ভাইয়ের বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে সারা রাজ্যে। এ নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূল। তাদের দাবি, ভোটের আগে বোমা, বিস্ফোরক মজুত করেছিল পদ্মশিবির। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হিঙ্গলগঞ্জ থেকে বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হন নিমাই দাস। হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার হাসনাবাদ কালীবাড়ি দক্ষিণ শিমুলিয়া গ্রামে থাকেন নিমাই দাস। তাঁর ভাই দিলীপ দাসের বাড়ি পাশেই। শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ বাড়িতে রান্না করছিলেন দিলীপ দাসের স্ত্রী শ্যামলী দাস। তখনই বিস্ফোরণের শব্দে গোটা এলাকা কেঁপে ওঠে। এলাকার মানুষ দিলীপ দাসের আহত স্ত্রীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। প্রাথমিকভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছে বলে মনে হলেও, দেখা যায় সিলিন্ডার অক্ষতই রয়েছে। এলাকায় আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। লাল ফিতে দিয়ে বাড়িটি ঘিরে দেওয়া হয়। রাতেই নিমাই দাসের বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘর-সহ এলাকায় সিআইডি বম্ব স্কোয়াড ও ফরেন্সিক টিম তদন্ত চালায়।
এপ্রসঙ্গে বিজেপি নেতা নিমাই দাস বলেন, তাঁর ভাইয়ের বাড়ির রান্নাঘরে বিস্ফোরণ হয়েছে। গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত রয়েছে, তাও কীভাবে বিস্ফোরণ হল, তিনি বুঝতে পারছেন না। দিলীপ দাসের বক্তব্য, বাড়িতে এমন কিছু ছিল না যে বিস্ফোরণ হবে। তবে বিজেপিকে কড়া ভাষায় একহাত নিয়েছে ঘাসফুল শিবির। রাজ্য তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “বিজেপির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্র সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে কেন্দ্রীয় সংস্থা ও সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনীর অপব্যবহার করছে। বিজেপি নেতারা যে বাড়িতে বিস্ফোরক মজুত করছেন, তার কী হবে?” ২০২১ সালের হিঙ্গলগঞ্জের প্রার্থী নিমাই দাসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন তিনি। বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, কীভবে ঘটনা ঘটেছে, তা স্পষ্ট নয় এখনও। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে দিলীপ দাসকে।